তাঁর সুরে গান গেয়ে তারকাখ্যাতি পেয়েছেন বহু শিল্পী

‘ডাক দিয়াছেন দয়াল আমারে’, ‘হায়রে মানুষ রঙিন ফানুস দম ফুরাইলে ঠুস’, ‘ওরে নীল দরিয়া’, ‘আমি রজনীগন্ধা ফুলের মতো গন্ধ বিলিয়ে যাই’, ‘কি জাদু করিলা পিরিতি শিখাইলা’, ‘তুমি যেখানে আমি সেখানে’, ‘সবাই তো ভালবাসা চায়’—এমন অসংখ্য কালজয়ী গানের সুরকার কিংবদন্তি সংগীত পরিচালক আলম খান। যাঁর সুরে গান গেয়ে তারকাখ্যাতি পেয়েছেন অনেক শিল্পী। যে তালিকায় রয়েছেন এন্ড্রু কিশোরের মতো সংগীত তারকা।

সংগীতজ্ঞ আলম খানের পুরো নাম খুরশিদ আলম খান। পিতার নাম আফতাব উদ্দিন খান। পপসম্রাট আজম খানের বড় ভাই তিনি। ১৯৬৩ সালে রবিন ঘোষের সহকারী হিসেবে চলচ্চিত্রে সঙ্গীত পরিচালনা হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করেন। চলচ্চিত্রের গানে অবদানের জন্য শ্রেষ্ঠ সঙ্গীত পরিচালক ও সুরকার বিভাগে সাতবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেছেন।

আলম খানের সুর ও সংগীতে শ্রোতাপ্রিয় গানের মধ্যে আরও রয়েছে, ‘জীবনের গল্প বাকি আছে অল্প’, ‘সবাই তো ভালোবাসা চায়’, ‘ভালোবেসে গেলাম শুধু’, ‘চাঁদের সাথে আমি দেবো না’, ‘আমি একদিন তোমায় না দেখিলে’, ‘সাথীরে যেও না কখনো দূরে’, ‘কাল তো ছিলাম ভালো’, ‘চুমকি চলেছে একা পথে’, ‘তেল গেলে ফুরাইয়া’ ইত্যাদি।

বাংলাদেশের সংগীতাঙ্গনে আলম খানকে বলা হয় সুরের জাদুকর। ‘মেলোডি কিং’ আলম খান, ঢাকাই সিনেমার প্রায় ৩০০ সিনেমার সংগীত পরিচালক। অথচ এই আলম খান পরিবারের কাছ থেকে গান করার অনুমতি নিয়েছিলেন ‘আত্মহত্যা’র হুমকি দিয়ে। গণমাধ্যমকে দেওয়া এ সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, “আব্বা যখন দেখলেন—লেখাপড়ার দিকে মন নেই, মারধরও করলেন। সেন্টিমেন্টাল হয়ে মাকে বললাম, যদি গান করতে না দাও, তাহলে রেললাইনের নিচে গিয়ে আত্মহত্যা করব। আম্মা আব্বাকে বলে দিলেন। তিনি ভয় পেয়ে বললেন, ‘আচ্ছা ঠিক আছে, ও যা করতে চায় করবে।”

উল্লেখ্য, বাংলা গানের এ কিংবদন্তি সুরকার ও সংগীত পরিচালক শুক্রবার (৮ জুলাই) সকাল ১১টা ৩২ মিনিটে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। তার ছেলে সংগীত পরিচালক আরমান খান গণমাধ্যমকে খবরটি নিশ্চিত করেছেন।

ফেসবুক স্ট্যাটাসে আরমান লিখেছেন, ‘আব্বা চলে গেলেন না ফেরার দেশে। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।

এন-কে

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *