ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি সিরিজের সবকটি ম্যাচ খেলেছেন সাকিব আল হাসান। তবে রোববার (১০ জুলাই) থেকে শুরু হতে যাওয়া সিরিজে থাকছেন না তিনি। আর তাতে খুশি ক্যারিবীয় অধিনায়ক নিকোলাস পুরান।
ক্যারিবীয় দ্বীপে সাকিব পাড়ি দিয়েছিলেন তৃতীয় মেয়াদে বাংলাদেশ টেস্ট দলের অধিনায়ক হয়ে। তাই এবার আর সাদা পোশাকে খেলা নিয়ে তার বিষয়ে কোনো সংশয় ছিল না। অপরদিকে আগামী অক্টোবরে অস্ট্রেলিয়ায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। আসরকে ঘিরেও প্রয়োজন প্রস্তুতি। তাই টি-টোয়েন্টি সিরিজেও সবকটি ম্যাচ খেলে নিজেকে ঝালিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেছেন সাকিব।
কিন্তু তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজটি আইসিসি সুপার লিগের অংশ না হওয়ায় সে সময় বিশ্রামে যেতে পারেন টাইগাল অলরাউন্ডার, এমন গুঞ্জন আগে থেকেই ছিল। শেষ পর্যন্ত তাই হলো। ৫০ ওভারের ম্যাচ শুরুর আগে পরিবারের উদ্দেশে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি দিয়েছেন তিনি। এদিকে তিনি না থাকায় খুশি প্রতিপক্ষের অধিনায়ক।
ওয়ানডে সিরিজের পরিকল্পনা জানাতে গিয়ে সংবাদ সম্মেলনে পুরান বলেন, ‘ওরা (বাংলাদেশ) সাকিবকে পাচ্ছে না। এতে আমরাও খুশি।’
তবে সাকিব না থাকলেও যে ওয়ানডেতে বাংলাদেশ কঠিন প্রতিপক্ষ। যে কেউ দলের হাল ধরে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারেন। তাই সাকিবের না থাকাটা খুব বেশি গুরুত্বও দিচ্ছেন না পুরান। মাস খানেক আগেই তো বাংলাদেশ দক্ষিণ আফ্রিকাকে তাদেরই ঘরে মাঠে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ হারিয়ে এসেছে।
তিনি বলেন, ‘কিন্তু সাকিব না থাকায় অন্য কেউ হয়তো সেই সুযোগটা নেবে, ভালো করবে। সাকিব আছে না নেই, এটা তেমন গুরুত্বপূর্ণ নয়। আমাদের মাঠে নামতে হবে। ভালো করতে হবে। সেটা প্রতিপক্ষের দলে যেই থাকুক না কেন। আমাদের মনোযোগ থাকবে কীভাবে ম্যাচটা জেতা যায়।’
এদিকে ওয়ানডে সিরিজ নিয়ে ইতিবাচক হলেও, অধিনায়ক তামিমকে ভাবাচ্ছে টি-টোয়েন্টি ও টেস্ট সিরিজের বাজে পারফরম্যান্স। এ ফরম্যাটে যতই শক্তিশালী হোক, ভালো ক্রিকেট না খেললে যে সাকিব, মাহমুদউল্লাহর মতো তাকেও খালি হাতে ফিরে আসতে হবে।
তামিম বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আমরা আমরা ভালো ক্রিকেট খেলতে পারিনি টি-টোয়েন্টি বলেন ওয়ানডে বলেন। আমি আশা করছি ওয়ানডেতে ইতিবাচক কিছু হবে, এটা এমন এক ফরম্যাট যেখানে আমরা কমফর্টেবল। একই সাথে বলতে হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজও খুব ভালো খেলছে। আমাদের সেরা ক্রিকেটটাই খেলতে হবে।’
তিনি যোগ করেন, ‘একটা সিরিজে যখন আপনি ম্যাচ জিততে পারছেন না তখন এটা সবসময় কঠিন। সাথে সাথে এটাও মনে রাখতে হবে এটা এমন একটা ফরম্যাট যেটা নিয়ে আমরা গর্ব করি। ওয়ানডেতে আমরা খুব ভালো দল কোনো সন্দেহ নাই। কিন্তু যতই ভালো খেলি না কেন নির্দিষ্ট দিনে সব দিক থেকেই ভালো খেলতে হবে এটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জিনিস।’
আগামী ১০ জুলাই সিরিজের প্রথম ওয়ানডের পর দুদিন বিরতি দিয়ে ১৩ জুলাই অনুষ্ঠিত হবে সিরিজের দ্বিতীয় এক দিনের ম্যাচটি। পূর্ণাঙ্গ সিরিজের সব শেষ ম্যাচটি অর্থাৎ তৃতীয় ওয়ানডে ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে ১৬ জুলাই।
এন-কে