সরকারের কতিপয় মন্ত্রীর অতিকথনও পেঁয়াজের মূল্যবৃদ্ধিতে উস্কানি দিচ্ছে-সুজন

পেঁয়াজের মূল্যবৃদ্ধি

২৪ ঘন্টা চট্টগ্রাম ডেস্ক : সরকারের কতিপয় মন্ত্রীর অতিকথনও পেঁয়াজের মূল্যবৃদ্ধিতে উস্কানি দিচ্ছে বলে ক্ষোভ প্রকাশ করে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন বলেন, এখনই যদি দ্রব্যমূল্য সন্ত্রাসীদের দমন করা না যায় তাহলে আগামী রমজান মাসে এর ব্যাপক প্রভাব পড়বে বলে আমরা আশংকা প্রকাশ করছি। তিনি দ্রব্যমূল্য সন্ত্রাসীদের মুখোশ খুলে দেওয়ার জন্য সরকারের নিকট বিনীত অনুরোধ জানান।

অব্যাহতভাবে পেঁয়াজের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে আজ বিকেলে চট্টগ্রাম পেস ক্লাব চত্ত্বরে ‘‘পেঁয়াজ সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ঘৃণার আগুন ছড়িয়ে দাও” শীর্ষক প্রতিবাদী কর্মসূচী পালনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। পেঁয়াজ বিহীন রান্না করা খাবার

মঙ্গলবার বিকেলে চট্টগ্রাম নগরীর প্রেস ক্লাবের সামনে জনদুর্ভোগ লাঘবে জনতার ঐক্য চাই শীর্ষক নাগরিক উদ্যোগ কর্তৃক আয়োজিত প্রতিবাদ কর্মসূচিতে পেঁয়াজ সন্ত্রাসীদের কুশপুত্তলিকায় ঘৃণা প্রদর্শিত হয়। এছাড়াও প্রতিবাদী সভা শেষে পেঁয়াজ বিহীন মুরগীর মাংস, মাছ, পালং শাক, লাল শাক, নুডুলস, ছোলা, পাকুড়া ও পিয়াজুসহ নানান পদের রান্না পরিবেশন করা হয়।

চলাচলের উৎসুক সাধারন জনগন স্বতস্ফুর্তভাবে লাইন ধরে পেঁয়াজ বিহীন খাবারের স্বাদ গ্রহণ করেন এবং পেঁয়াজ বিহীন খাবারও যে এতো সুস্বাদুভাবে পরিবেশন করা যায় সেজন্য উদ্যোক্তাদের আন্তরিক ধন্যবাদ দিয়ে তারাও বাসায় পেঁয়াজ বিহীন রান্না করার আগ্রহ প্রকাশ করেন।

বিকেল ৪টায় নগরীর প্রেস ক্লাব চত্বরে ব্যাতিক্রমী এ আয়োজনে বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী মিসেস হাসিনা মহিউদ্দিন।

প্রধান অতিথি সুজন নগরবাসীর উদ্দ্যেশে বলেন, পেঁয়াজ রান্নার একটি অত্যাবশ্যকীয় উপাদান। কিন্তু কি কারণে মাসের পর মাস এভাবে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি করা হবে তা আমাদের বোধগম্য নয়। ইতিমধ্যে আমরা প্রধানমন্ত্রীর ঘোষনা মোতাবেক পেঁয়াজ ন খাইয়্যুম পেঁয়াজ ন কিইন্যুম শীর্ষক সচেতনতা সভা করেছি এবং জনগনকে পেঁয়াজ বিহীন খাবার রান্না করার অনুরোধ জানিয়েছিলাম।

জনগনও এতে ব্যাপক সাড়া দিয়েছে। তারপরও পেঁয়াজের মূল্যবৃদ্ধিতে সাধারণ জনগন উদ্বিগ্ন। আমরা মনে করি সমাজ এবং রাষ্ট্রের বিভিন্ন স্থরে লুকিয়ে থাকা স্বার্থান্বেষী একটি মহল প্রধানমন্ত্রীর শুদ্ধি অভিযানকে বাঁধাগ্রস্থ করতে পরিকল্পিতভাবে এ মূল্য বৃদ্ধিও চক্রান্ত করছে।

ইতিমধ্যে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা পেঁয়াজ কারবারির সাথে জড়িত বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ীকে চিহ্নিত করেছে তারপরও কি কারণে তাদের বিরুদ্ধে দৃশ্যমান কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে না তা জনগন জানতে চায়। এদের আশ্রয়দাতা কারা তা জনসন্মূখে প্রকাশ করা আজ সময়ের দাবী। খোরশেদ আলম সুজন

তিনি আরো বলেন আমরা আশংকাজনক হারে লক্ষ্য করছি ভোগ্যপণ্যের গুজব রটিয়ে চক্রান্তকারীরা সরকারকে বেকায়দায় ফেলার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। এরা দেশ ও জাতির শত্রু। এরা জনগনের দুশমন। এদের বিরুদ্ধে সবাইকে এক হওয়ার জন্য উদাত্ত আহবান জানান সুজন।

সভার বিশেষ অতিথি চট্টগ্রাম মহানগর মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী মিসেস হাসিনা মহিউদ্দিন বলেন পেঁয়াজকে কেন্দ্র যে সিন্ডিকেট প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়নের অগ্রযাত্রাকে ধুলিস্যাত করে দিতে চায় তাদের বিরুদ্ধে আমরা চট্টগ্রামের নারী সমাজ একতাবদ্ধ। আমরা পেঁয়াজের দাম সহনীয় পর্যায়ে না আসা পর্যন্ত সবার ঘরে ঘরে পেঁয়াজ বিহীন রান্না করবো। পেঁয়াজসহ সকল দ্রব্যমূল্যের সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে আমরা রাজপথে থেকে আমাদের প্রতিবাদ জানিয়ে যাবো।

নাগরিক উদ্যোগের উপদেষ্ঠা হাজী মো. ইলিয়াছের সভাপতিত্বে এবং সমন্বয়কারী মোরশেদ আলমের সঞ্চালনায় এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মহানগর আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক চন্দন ধর, মহানগর মহিলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মমতাজ খাঁন, মহিলা কাউন্সিলর ওয়াসা বোর্ড মেম্বার আফরোজা কালাম, শারমিন সুলতানা ফারুক, মিথুন বড়ুয়া, বেসরকারি কারা পরিদর্শক আজিজুর রহমান আজিজ প্রমূখ।

এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মসিউর রহমান চৌধুরী, আব্দুর রহমান মিয়া, নাগরিক উদ্যোগের সদস্য সচিব হাজী মো. হোসেন, আব্দুর রহমান মিয়া, সাইদুর রহমান চৌধুরী, মো. নিজাম উদ্দিন, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের উপ কমিটির সাবেক সহ-সম্পাদক শওকত হোসাইন, ফরহান আহমেদ, মোঃ সালাউদ্দিন, আবুল কালাম বিএসসি, আবুল হাসেম বাবুল, মিসেস তাহমিনা বেগম, শফিউল আজম বাহার, মহিউদ্দিন শাহ, মাঈনুল হক লিমন, এনামুল হক মিলন, জাহেদ আহমদ চৌধুরী, এ এস এম জাহিদ হোসেন, আবুল হাসান সৈকত, কাউন্সিলর নীলু নাগ, ডা. অঞ্জন দাশ, অধ্যক্ষ কামরুল হোসেন, নাজিম উদ্দিন, সমীর মহাজন লিটন, সাইফুল্লাহ আনছারী, মো. মুরাদ, ফরহাদুল ইসলাম রিন্টু, রকিবুল আলম সাজ্জী, রাজীব হাসান রাজন, অনির্বান দাশ বাবু, শেখ মামুনুর রশীদ, ফারজানা মুন্নী, সোলেমান সুমন, শাহনেওয়াজ রাজীব, পাভেল ইসলাম, নগর ছাত্রলীগ সভাপতি এম ইমরান আহমেদ ইমু, তালেব আলী, নাঈম রনি, জয়নাল উদ্দিন জাহেদ, আফম সাইফুদ্দীন, নোমান চৌধুরী, সুজন বর্মন, ইরফানুল আলম জিকু, মিনহাজুল আবেদীন সানি, খোরশেদ আলম, হাসানুল আলম সবুজ, আবু তারেক রনি, এহসানুল কবির ববি, আবু সালেহ রিমন, শেখর দাশ, মো. ওয়াসিম, বিকাশ দাশ, আব্দুল জাহেদ মনি, সুভাষ মল্লিক সবুজ, রাকিবুল হাসান, ফয়সাল সাব্বির, ইবনে জামান ডায়মন্ড, মীর মো. ফয়সাল, আকবর হোসেন রাজন, মিজানুর রহমান প্রমূখ।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *