অহিংস আন্দোলনে আপত্তি নেই প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহের

নজিরবিহীন অর্থনৈতিক সংকটে বিপর্যস্ত শ্রীলঙ্কায় গত কয়েক মাস ধরে জনবিক্ষোভের মুখে বিদায় নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ও প্রেসিডেন্ট। কিন্তু তাতেও বিক্ষোভ থামেনি। নতুন প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে বলেছেন, তার সরকারের বিরুদ্ধে অহিংস বিক্ষোভ চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি তিনি দিচ্ছেন।

এ সপ্তাহে কূটনীতিকদের সঙ্গে এক বৈঠকে প্রেসিডেন্ট বিক্রমাসিংহে এ কথা বলেন। রোববার প্রেসিডেন্টের কার্যালয় থেকে এক বিবৃতিতে একথা জানানো হয়েছে। খবর রয়টার্সের।

এমনকী দেশটির বাণিজ্যিক রাজধানী কলম্বোতেও অহিংস বিক্ষোভের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

রোববার বিক্রমাসিংহে এ অনুমতি দিলেও প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার পরদিনই বিক্ষোভকারীদের উপর চড়াও হয়েছিলেন তিনি।

বিক্ষোভের মুখে গত ১৩ জুলাই প্রেসিডেন্ট পদ থেকে সরে দাঁড়ান গোটাবায়া রাজাপাকসে। তখন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন বিক্রমাসিংহে। তাঁকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে মেনে নিতে রাজি ছিল না বিক্ষোভকারীরা। তারা নতুন কাউকে এ পদে চাইছিল এবং এ দাবিতে বিক্ষোভ জোরদার হয়।

গত বুধবার পার্লামেন্টে এমপি’দের ভোটে বিজয়ী হয়ে শ্রীলঙ্কার নতুন প্রেসিডেন্ট হন বিক্রমাসিংহে। বৃহস্পতিবার তিনি শপথ নেন।

বিক্রমাসিংহের শপথ গ্রহণ উপলক্ষ্যে প্রেসিডেন্টের সচিবালয়ের বাইরে বিক্ষোভকারীরা জড়ো হয়। শুক্রবার ভোররাতে কয়েকশ’ নিরাপত্তা সদস্য অভিযান চালিয়ে সচিবালয়ের বাইরে বিক্ষোভকারীদের শিবিরের একটি অংশ ভেঙে দেয়। যার ফলে জনমনে ধারণা তৈরি হয়েছিল, নতুন প্রেসিডেন্ট হয়ত বিক্ষোভ দমনে কঠোর হবেন। জাতিসংঘ এবং পশ্চিমাবিশ্ব শুক্রবারের ওই অভিযানের নিন্দা জানায়।

বিক্রমাসিংহের কার্যালয় থেকে দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়, ‘প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে শ্রীলঙ্কার নাগরিকদের শান্তিপূর্ণ, অহিংস সমাবেশের অধিকার সমুন্নত রাখার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন। জীবন এবং সম্পদের ক্ষতি না করে নগরীর অভ্যন্তরে অহিংস বিক্ষোভ চলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এবং তা নিশ্চিত করতে কূটনীতিকদেরকে এ সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আকারে অবহিতও করা হয়েছে।

এন-কে

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *