কক্সবাজার সৈকতের অবৈধ স্থাপনা ধ্বংস করতে হাইকোর্টের রুল

হাইকোর্টে রুল

কক্সবাজার প্রতিনিধি| ইসলাম : পরিবেশগত ছাড়পত্র ছাড়া কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা ধ্বংস ও অপসারণের নির্দেশ কেন দেয়া হবে না-তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

বাংলাদেশ পরিবেশবিদ আইনজীবী সমিতির (বেলা) এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে সোমবার ৯ ডিসেম্বর হাইকোর্টের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।

একইসঙ্গে কক্সবাজারের ১২০ কিলোমিটার সমুদ্র সৈকতের মধ্যে থাকা অবৈধ দখল, নির্মাণ, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান কর্তৃক দূষণ, পৌরবর্জ্য ও ওয়ান টাইম ইউজ প্লাস্টিক যত্রতত্র ফেলা বন্ধ করতে বিবাদীদের ব্যর্থতাকে কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, রুলে তাও জানতে চেয়েছেন আদালত।

এছাড়াও ২০১৮ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারির টাস্কফোর্সের সভায় কক্সবাজারের সংরক্ষিত এলাকায় ১০তলা সার্কিট হাউজ ভবন নির্মাণের সিদ্ধান্ত কেন স্বেচ্ছাচারী ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না এবং পরিবেশগত ছাড়পত্র ও সুয়ারেজ প্লান্ট ছাড়া কক্সবাজার পৌর এলাকায় হোটেল-মোটেল-রেস্তোরাঁ মার্কেট ও বাণিজ্যিক কাঠামো নির্মাণ এবং কক্সবাজার পৌরসভায় বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ কেন দেয়া হবে না, তা জানতেও রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

রিটে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, পরিবেশ মন্ত্রণালয় সচিব, বিমান ও পর্যটন সচিব, গৃহায়ন ও গণপূর্ত সচিব, জনপ্রশাসন সচিব ও পানিসম্পদ সচিবসহ ২২ জন বিবাদীকে এসব রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

আদালতে বাংলাদেশ পরিবেশবিদ আইনজীবী সমিতির (বেলা) রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মিনহাজুল হক চৌধুরী। তাকে সহযোগিতা করেন আইনজীবী সাঈদ আহমেদ কবির। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার।

এর আগে কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকতে গড়ে ওঠা বিভিন্ন অবৈধ স্থাপনা নিয়ে দেশের বেশকিছু গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। প্রকাশিত এসব প্রতিবেদন সংযুক্ত করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করে বাংলাদেশ পরিবেশবিদ আইনজীবী সমিতি।

রিটে কক্সবাজার জেলার সদর, মহেশখালী, টেকনাফ, রামু, চকোরিয়া, উখিয়া ও পেকুয়া উপজেলায় উন্নয়নবহির্ভূত ও সংরক্ষিত এলাকায় অবস্থিত পাহাড়, টিলা ও বনাঞ্চল দখল থেকে রক্ষায় আদালতের নির্দেশনা চাওয়া হয়।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *