দীর্ঘদিন সাগরে ডাকাতির ঘটনা বন্ধ থাকলেও আবার উৎপাত বেড়ে জলদস্যুদের। মূলত সাগরে ভরা মৌসুমে মাছের চালান ধরতেই ডাকাতির প্রকোপ বেড়েছে। গত ২৬ আগস্ট (শুক্রবার) চট্টগ্রামের গভীর বঙ্গোপসাগরে একযোগে নয়টি বোটে ডাকাতি করে ইলিশ মাছ লুট করে নিয়ে গেছে জলদস্যুরা। এ ঘটনায় এক কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানান মৎস্য ব্যবসায়ীরা।
জলদস্যুতার কবলে পরা জেলে কবির জানান, রাত ৯টায় কালিরচর এলাকায় মাছ ধরছিলাম। এ সময় কিছু বুঝে ওঠার আগেই ১৫ থেকে ২০ জনের একটি গ্রæপ বোটে উঠে অস্ত্রের মুখে সবাইকে জিম্মি করে ফেলে। এ সময় বোটের ইঞ্জিন নষ্ট করে দেয় তারা। বোটটি ১০ থেকে ১৫ লাখ টাকার ইলিশ মাছ ছিল। সব নিয়ে গেছে তারা।
আরেক জেলে জানান, ডাকাতি করে চলে যাওয়ার পর কোনো রকমে বোটটি চালু করি। কিছুদূর আসার পরেই মোবাইল নেটওয়ার্ক পাওয়া গেলে ৯৯৯-এ কল দিয়ে জলদস্যুতার ঘটনাটি পুলিশকে জানানো হয়।
সোনালি যান্ত্রিক মৎস্যজীবী সমিতির সভাপতি জানান, দীর্ঘদিন জলদস্যুতার ঘটনা বন্ধ ছিল। মনে হচ্ছে আবারও শুরু হয়েছে ডাকাতির ঘটনা। মূলত ইলিশ মাছ ধরতেই এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে ধারণা এ ব্যবসায়ীর।
এদিকে সামুদ্রিক মৎস্য আহরণকারী বোট মালিক সমিতির মহাসচিব জানান, গতকাল রাতে গভীর বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরার ৯টি বোটে একসঙ্গে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। সন্দীপের কাছাকাছি কালিরচর এলাকা থেকে শুরু করে আনোয়ারার গহিরা পর্যন্ত ৫০ কিলোমিটারের বেশি এলাকাজুড়ে ডাকাতির ঘটনা ঘটে।
প্রতিটা বোটেই ১৪ থেকে ২০ জন করে জেলে ছিল এবং ১০ থেকে ১৫ লাখ টাকার ইলিশ মাছ ছিল। দুদিনের মধ্যেই জেলেরা মাছ নিয়ে ফেরত আসত। ৯টি বোটে ডাকাতির ঘটনায় এক কোটি টাকার মাছ লুট করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
মূলত বাঁশখালী, আনোয়ারার ডাকাতরা এ ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারে বলে ধারণা পুলিশের। জলদস্যুদের ধরতে অভিযান শুরু করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নৌ পুলিশের ওসি এবিএম মিজানুর রহমান।
জে-আর
Leave a Reply