শ্রীলংকাকে বিধ্বস্ত করে আফগানিস্তানের শুভ সূচনা

লক্ষ্যটা খুব বড় ছিল না। মাত্র ১০৬ রানের টার্গেট দিয়েছিল শ্রীলংকা। শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ছিলেন রহমানুল্লাহ গুরবাজ ও হজরতউল্লাহ জাজাই। তাদের আগ্রাসী ব্যাটে খেলতে থাকা আফগানরা তা ছুঁয়ে ফেলে পানি পানের বিরতির পরই।

৫৯ বল বাকি থাকতেই ৮ উইকেটের জয় তুলে নেয় আফগানিস্তান।

টস ভাগ্য জিতে আয়োজক দেশ শ্রীলংকাকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় আফগানরা। শুরুতেই ফজল হক ফারুকী ও নাভিনউল হকের পেস বলে দিশাহারা হয়ে যান আসালাঙ্কারা। প্রথম দুই ওভারেই আউট হয়ে যান লংকানদের তিন টপ অর্ডার। রাজাপাকশে ও গুনাথিলাকার জুটি সেই চাপ সামাল দেন। তবে শেষ মুহূর্তে একশ রানের আগেই অল-আউটের শঙ্কা জেগেছিল। কারুনারত্নের ৩১ রানের ইনিংসে কোনো রকমে ১০০ পাড় করে তারা।

মাত্র ১০৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই আগ্রাসী মেজাজে ছিলেন জাজাই ও গুরবাজ। দুজনের ব্যাটে তান্ডব ছুটে যেন।

তাদের দানবীয় ব্যাটিংয়ে পাওয়ার প্লের ৬ ওভারেই আসে ৮৩ রান। ব্যাটিংয়ের পর বোলিংয়ে শ্রীলংকাকে দিশাহারা করে ফেলে আফগানরা। তারা যেন তখন মরিয়া হয়ে উঠেছিল একটি উইকেটের জন্য।

তখনই দলকে ব্রেক থ্রো এনে দেন শ্রীলংকার লেগ স্পিনার হাসারাঙ্গা ডি সিলভা। তার গুগলিতে গুরবাজের লেগ স্টাম্পে আঘাত হানে। ফিরে যান ৪০ রান করে। ১৮ বলে তিন চার ও চার ছক্কায় সাজানো ছিল তার ইনিংসটি।

গুরবাজ ফিরে গেলেও অন্যপ্রান্ত আগলে রেখেছিলেন জাজাই। তবে তাকে শেষ পর্যন্ত সঙ্গ দিতে পারেননি তিনে নামা ইব্রাহিম জাদরান। থিকশানার বল সোজা ব্যাটে খেলতে গিয়েছিলে জাজাই। দাগের বাইরে চলে এসেছিলেন ইব্রাহিম। বোলারের হাতে লেগে আঘাত করে স্টাম্পে। ফিরে যেতে হয় ১৫ রান করেই। ১৩ বলে তার ইনিংসটি সাজানো ছিল দুটি চারে।

ইব্রাহিম যখন আউট হন তখন জয়ের জন্য প্রয়োজন মাত্র ৩ রান। সেটা পেতে শেষ পর্যন্ত বেগ পেতে হয়নি। ৩৭ রানে অপরাজিত থেকে ম্যাচ জয় নিয়ে ফেরেন জাজাই। ২৮ বলে ৫ চার ও এক ছক্কায় সাজানো ছিল তার ইনিংসটি।

শ্রীলংকার হয়ে একমাত্র উইকেটটি নিয়েছেন রাজাপাকশে। দারুণ বোলিংয়ে প্রতিপক্ষ ব্যাটারদের বিধ্বস্ত করা ফজল হক ফারুকী হয়েছেন ম্যাচ সেরা।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *