চিলির একটি সামরিক বিমান অ্যান্টার্কটিকা যাওয়ার পথে ৩৮ জন আরোহী নিয়ে নিখোঁজ হয়েছে। এক বিবৃতিতে এ খবর জানিয়েছে দেশটির বিমান বাহিনী।
স্থানীয় সময় বিকেল চারটা ৫৫ মিনিটে পুনটা এরিনাস থেকে উড্ডয়ন করে সি-১৩০ হারকিউলিস নামের পরিবহন বিমানটি। এর বেশ কিছুক্ষণ পরে অর্থাৎ সন্ধ্যা ৬ টার দিকে বিমানটির সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
নিখোঁজ আরোহীদের মধ্যে ১১ জন ক্রু এবং ২১ জন যাত্রী রয়েছেন। এই যাত্রীরা অবকাঠামোগত কিছু সহায়তা দেয়ার জন্য যাচ্ছিলেন।
চিলির বিমানবাহিনী জানিয়েছে, নিখোঁজ বিমানটি এবং আরোহীদের খুঁজে বের করতে একটি তল্লাসি অভিযান চলছে।
সংবাদ সংস্থা ইএফই তাদের প্রতিবেদনে বলেছে, আরোহীদের মধ্যে তিন জন বেসামরিক নাগরিক ছিলেন।
বিমান বাহিনীর কর্মকর্তা জেনারেল এদুয়ার্দো মসকুয়েরা স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে বলেন, অ্যান্টার্কটিকার কিং জর্জ আইল্যান্ডে প্রেসিডেন্ট এদুয়ার্দো ফ্রেই মনটালভা ঘাঁটিতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে উড্ডয়নের পর বিমানটি কোন ধরণের বিপদ সংকেত দেয়নি।
তিনি বলেন, বিমানটির পাইলটের অত্যন্ত অভিজ্ঞ। তিনি হয়তো জ্বালানি সংকটের কারণে কোথাও জরুরী অবতরণ করতে বাধ্য হয়েছেন।
এক বিবৃতিতে বিমানবাহিনী জানায়, বিমানটি ৭৭০ মাইল যাত্রাপথের মধ্যে নিখোঁজ হওয়ার আগে ৪৫০ মাইল অতিক্রম করে। সে হিসেবে এটি তখন ড্রেক প্যাসেজ এলাকায় ছিল।
ড্রেক প্যাসেজ সাগরের এমন একটি এলাকা যেখানে দক্ষিণ আটলান্টিক এবং দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগর মিলিত হয়েছে। অদ্ভুত আবহাওয়ার জন্য পরিচিত এই এলাকা। কিন্তু চিলির বিমান বাহিনীর মতে, বিমানটি নিখোঁজ হওয়ার সময় স্থানীয় আবহাওয়া পরিস্থিতি ভাল ছিল।
এক টুইটে চিলির প্রেসিডেন্ট সেবাস্টিয়ান পিনেরা বলেছেন, এ ঘটনায় তিনি আতঙ্কিত বোধ করছেন এবং রাজধানী সান্টিয়াগো থেকে তিনি পুরো পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন।
অ্যান্টার্কটিকা এলাকার ১২ লাখ বর্গকিলোমিটার এলাকায় চিলির নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। যা যুক্তরাজ্য এবং আর্জেন্টিনার সীমান্ত এবং উভয় দেশের দাবি করা এলাকা সংলগ্ন। চিলি এই এলাকায় মোট ৯টি ঘাঁটি পরিচালনা করে যা বিশ্বের যেকোনো দেশের তুলনায় বেশি।
Leave a Reply