চট্টগ্রাম-দোহাজারি-কক্সবাজার রেল লাইনের ‘ফাস্ট ট্র্যাক’ প্রকল্পের ৭৪ শতাংশ কাজের অগ্রগতি হয়েছে। ২০২৩ সালের ৩০ জুনের মধ্যে প্রকল্পের পুরো কাজ সম্পন্ন করার লক্ষ্যে কাজ চলছে। চলতি বছরের ৩০ জুনের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও সময় বাড়িয়ে তা ২০২৪ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত করা হয়।
তবে প্রকল্প পরিচালক মফিজুর রহমান জানালেন আগামী বছরের ৩০ জুনের মধ্যে দোহাজারি থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ১০০ কিলোমিটার রেল লাইনের কাজ শেষ হবে। এর পর আগস্টেই শুরু হবে দোহাজারি কক্সবাজার রুটে রেল চলাচল।
এ ছাড়া কক্সবাজারের ঝিনুকের আদলে করা দেশের প্রথম আইকনিক রেলওয়ে স্টেশনের কাজও প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে বলে জানান প্রকল্প পরিচালক। চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত রেল লাইনের দুরত্ব ১৫০ কিলোমিটার। এর মধ্যে দোহাজারি থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত দুরত্ব ১০০ কিলোমিটার।
২০১০ সালের ৬ জুলাই দোহাজারী থেকে রামু হয়ে কক্সবাজার পর্যন্ত ১০০ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণ প্রকল্প একনেকে অনুমোদন পায়। এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)’র সহায়তায় এ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১৮ হাজার ৩৪ কোটি ৪৮ লাখ টাকা।
তবে প্রকল্পের মেয়াদ বাড়লেও ব্যয় বাড়েনি বলে জানান প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা। দেশের অন্যান্য রেলপথ থেকে এই রেলপথের বৈশিষ্ট্য আলদা। রেলপথটি নির্মিত হলে মিয়ানমার, চীনসহ ট্রান্স এশিয়ান রেলওয়ের করিডোরে যুক্ত হবে বাংলাদেশ।
দোহাজারী থেকে রামু হয়ে কক্সবাজার পর্যন্ত ৩৯টি বড় সেতু, ২২৩টি ছোট সেতু ও কালভার্ট, বিভিন্ন শ্রেণির ৯৬টি লেভেল ক্রসিং নির্মাণ করা হচ্ছে। হাতি চলাচলের জন্য থাকবে আন্ডারপাস। নয়টি স্টেশন নির্মাণ করা হবে দোহাজারী, সাতকানিয়া, লোহাগড়া, হারবাং, চকরিয়া, ডুলাহাজরা, ইসলামাবাদ, রামু ও কক্সবাজার।
প্রকল্প পরিচালক মফিজুর রহমান বলেন, স্বপ্নপূরণের পথে দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইন প্রকল্পের কাজ। আইকনিক রেলস্টেশনের ছয়তলা ভবনের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। এখন ফিনিশিং কাজ চলছে। এখানে পর্যটকদের জন্য লকার সুবিধা, হোটেল, শপিংমলসহ বিভিন্ন ধরনের সুযোগ সুবিধা থাকছে।
জে-আর
Leave a Reply