অতিরিক্ত চিনি খাওয়া ধীরে ধীরে একটি এডিকশনে রূপ নিচ্ছে। চা, কফি কিংবা মিষ্টি খাওয়ার প্রবণতা বা ভাবনাটি তৈরি হয় মস্তিষ্কে। মানুষের ব্রেইনে থাকা অসংখ্য নিউরনের পুনর্বিন্যাসের প্রক্রিয়াকে বলে নিউরোপ্লাস্টিসিটি।
যখন অতিরিক্ত চিনি বা ফ্রুকটোজজাতীয় খাবার খাওয়া হয়, তখন মস্তিষ্কে সেই নিউরনের পুনর্বিন্যাসও ইঙ্গিত দেয় বেশি বেশি মিষ্টি বা চিনি খেতে ইচ্ছে হচ্ছে। ফলে আস্তে আস্তে এটি একটি এডিকশন তৈরি করে।
যেহেতু চিনি স্বাদ বাড়ানোর কাজটি করে, তাই ব্রেইনে প্রি ফ্রন্টাল কর্টেক্সে ইনহিবিটারী নিউরন সিদ্ধান্ত নেয় ডায়েট বা ব্যায়াম না করে উল্টো বেশি বেশি মিষ্টি খাওয়ার। ফলে দেহে ডায়াবেটিস,উচ্চ রক্তচাপের প্রবণতা বেড়ে যায়। সাম্প্রতিক ইউসিএলএ সমীক্ষা অনুসারে চিনি ব্রেইনে ফ্রি রেডিক্যাল গঠন করে। যেটি মনোযোগ ও শেখার ক্ষেত্রে ব্যাঘাত ঘটায়। স্মৃতিশক্তি খারাপ করাসহ মস্তিষ্কের ঘনত্বের পরিমাণ কমিয়ে দেয়।
মেমরি রিসেপ্টরগুলোও ব্লক করে দেয়। চিকিৎসকদের ভাষায়, চিনি মস্তিষ্কে আলফা ডেলটা ও থেটা ব্রেইন ওয়েভ বাড়িয়ে দিয়ে স্নায়বিক ভারসাম্য নষ্ট করে, ব্রেইনের মেসোলিম্বিক ডোপামিন সিস্টেমের স্তর উঁচু করে দেহের ভারসাম্য নষ্ট করে।
চিনি মেজাজেরও পরিবর্তন ঘটায়। ব্রেইন ডেমেজ, মাইগ্রেন, মস্তিষ্কের নিউরন, কোষ এবং উন্নতি বন্ধ করাসহ বিভিন্নভাবে ক্ষতি করছে এই চিনি। তবে আবার একেবারেই চিনি খাওয়া বন্ধ করা উচিত নয়, বরং অল্প পরিমাণেই খাওয়া শ্রেয়।
এন-কে
Leave a Reply