নিত্য প্রয়োজনী দ্রবের সাথে সাথে দুধের বাজারেও চলছে অস্থিরতা। গত মাস থেকেই দুধের দর ঊর্ধ্বমুখী। পাস্তরিত তরল দুধের দাপট বাড়ছে দেশীয় কোম্পানিগুলোর। যদিও গুড়ো দুধের বাজার বিদেশনির্ভর। ডলারের উচ্চ মূল্য, জাহাজভাড়া বৃদ্ধি আর জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় পরিবহনের বাড়তি খরচের প্রভাব পড়েছে দুধের মোকামে এ ধরনের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সপ্তাহের ব্যবধানে লিটার প্রতি পাস্তরিত তরল দুধের দাম বেড়েছে অন্তত ১০ টাকা। আর গুড়ো দুধের দাম বেড়েছে কেজিতে ৭০ টাকা। ক্রেতারা মনে করছেন, দুধের বাজারে ভোক্তা অধিকারের যথাযথ তৎপরতা অভাবে সুযোগ নিচ্ছেন আমদানিকারক ও উৎপাদকরা।
চলতি বছরের মে মাস থেকে ধাপে ধাপে সব ধরনের গুড়ো দুধে ও পাস্তুরিত তরল দুধের দাম ঊর্ধ্বমুখী হয়ে বিভিন্ন কোম্পানির পাস্তুরিত তরল দুধের প্যাকেটের নির্ধারিত মূল্য লিটার প্রতি ৯০ টাকা। যা সপ্তাহের ব্যবধানে বৃদ্ধি পেয়েছে অন্তত ১০ টাকা। গত মে মাসে দাম ছিল ৭০ টাকা।
বিভিন্ন নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় সংসারের বাজেট কাটছাট করছেন অনেকেই। কেউ কেউ দুধ কেনাও কমিয়ে দিয়েছেন বলে জানান অনেকে।
ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)’র পরিসংখানে দেখা গেছে, ডানো ১ কেজির দাম ৮’শ ১০ টাকা, ডিপ্লোমা ৮’শ টাকা, মার্কস ৭’শ ২০ টাকা আর ফ্রেশ ৭’শ টাকা।
মাসের ব্যবধানে ডানো ও ডিপ্লোমার দাম বেড়েছে প্রায় ৬ শতাংশ। আর বছরের ব্যবধানে সব ধরনের দুধের দাম কেজিতে বেড়েছে অন্তত ১’শ ৩০ থেকে ১’শ ৫০ টাকা। তবে বর্তমানে বাজারে বিক্রি হচ্ছে আরও বাড়তি দরে।
খুচরা দোকানীরা বলছেন, লাগামহীনভাবে বাড়ছে দুধের দাম। তাই আমাদেরও বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। তাই বাজারে ভোক্তা অধিকারের তদারকি প্রয়োজন।
জে-আর
Leave a Reply