সনাতনী ধর্মাবলম্বীদের সর্বোচ্চ ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দূর্গোৎসব আগামী ৩ অক্টোবর সায়ংকালে শ্রী শ্রী দূর্গাদেবী বোধনের মাধ্যমে পুজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে। জগৎ জননী দশভূজা মা দূর্গা প্রতিবছর এসময়ে শক্তি,ভক্তি, শান্তি ও মুক্তির অধিষ্ঠ্যত্রী দেবী চন্ডিকা সকল প্রকার অনাচার ও অভিচার, জরাজীর্ণতা দূর করার প্রয়াসে সর্বোপরী আশুর ও অশুভশক্তির বিনাস কল্পে ধরাধামে নেমে আসে।
আসন্ন পুজা উৎসবকে কেন্দ্রে করে চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার বিভিন্ন পুজা মন্ডপে প্রতিমা তৈরীতে ব্যস্ত সময় কাটাছেন মৃৎ শিল্পীরা। বিভিন্ন মন্দিরে প্রতিযোগীতা মূলক ভাবে প্রতিমা তৈরীতে আধুনিকতার ছাপ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তবে কিছু কিছু মন্ডপে মৃৎ শিল্পীদের তৈরি করা মজুদ প্রতিমা ক্রয় করে মন্ডপে পূজার জন্য আনার উদ্যেগ চলছে। এজন্য পূজা মন্ডপ সাজানো, তৈরির কাজ ও চলছে পুরোদমে।
উপজেলা কেন্দ্রীয় পূজা উদযাপন পরিষদ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার আওতাধীন ১৪ টি ইউনিয়ন, ১ টি পৌরসভা ও সিটিকর্পোরেশনের ১ নং ওয়ার্ডে মোট ১১৯ টি পূজা মন্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হবে।
১নং ফরহাদাবাদ ইউনিয়নে ৬ টি, ধলই ইউনিয়নে ১৫ টি, মির্জাপুর ইউনিয়নে ১২ টি, গুমানমর্দ্দন ও নাঙ্গলমোড়া ইউনিয়নে ১টি করে ২টি করে, হাটহাজারী পৌরসভার ৯ টি, মেখল ইউনিয়নে ১১ টি, ফতেপুর ইউনিয়নে ৩টি, চিকনদন্ডী ইউনিয়নে ২৭ টি, উত্তর ও দক্ষিণ মাদার্শা ইউনিয়নে ৪টি করে ৮ টি করে, শিকারপুর ইউনিয়নে ৮টি, বুড়িশ্চর ইউনিয়নে ৬টি ও চট্টগ্রাম সিটিকর্পোরেশনের ১নং ওয়ার্ডে ১২ টি পূজা মন্ডপে পূজার আয়োজন চলছে।
এ ব্যাপারে হাটহাজারী জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদের সভাপতি লিটন মহাজন জানান, পূজা মন্ডপে আনন্দঘন পরিবেশে চলছে কারিগরদের শিল্প নৈপূন্য। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে মৃৎ শিল্পীরা এসে প্রতিমা তৈরি করছেন উপজেলার বিভিন্ন পূজা মন্ডপে। মৃৎ শিল্পী কম থাকায় একজন শিল্পী বেশ কয়টি মন্ডপে প্রতিমা তৈরি করছে। তাছাড়া এবার প্রতিমা তৈরীর মজুরী ও গত বারের তুলনায় অনেক বেশী। তিনি বলেন এসব পুজা মণ্ডপের বিভিন্ন বিষয় সার্বিক তদারকি করছেন হাটহাজারী জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক বাবলু দাশ।
এদিকে দূর্গাপুজাকে কেন্দ্র করে সনাতন সম্প্রাদায়ের লোকজন পুজার উপকরণসহ বাড়িঘর সাজানোর জন্য নানা জিনিসপত্র ক্রয়ের জন্য উপজেলার আওতাধীন বিভিন্ন হাট বাজারের দোকান ও মার্কেটে ভীড় করছে।
তাছাড়া পুজার জন্য নতুন পোষাক ও ক্রয় করছে অনেকেই। অপেক্ষাকৃত বয়োজেষ্টরা নতুন পরিধেয় ক্রয় না করলেও ছোটদের আনন্দের জন্য তাদের খুশি রাখতে নতুন জামা কাপড় কিনে দিচ্ছে।
ব্যাবসায়ীরা বিভিন্ন দোকান পাট ও মার্কেটে বিক্রির উদ্দেশ্যে নতুন নতুন পোষাক এনে সাজিয়েছে। ইতিমধ্যে শান্তিপূর্ণ ভাবে পূজা অনুষ্ঠানের জন্য কেন্দ্রীয় পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দের সাথে আইনশৃংঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তারা থানা মিলনায়তনে মতবিনিময় করেছেন বলে জানিয়েছেন উপজেলা কেন্দ্রীয় পূজা উদযাপন পরিষদ সভাপতি এড. সুমন কান্তি আচার্য ও সাধারণ সম্পাদক নয়ন চৌধুরী।
আরো : দুর্গাপুজা আসন্ন, সীতাকুণ্ডের পাড়া-মহল্লায় সাঁজ-সাঁজ রব
আরো : রাউজানে ২৩২ মণ্ডপে দুর্গাপুজার প্রস্তুতি, প্রতিমায় রং-তুলির প্রলেপ
Leave a Reply