চট্টগ্রামে সম্পদের লোভে সৎ মায়ের পরিকল্পনায় নাবালক ছেলে ও তার মাকে অস্ত্র ও ইয়াবা দিয়ে ফাঁসাতে গিয়ে র্যাব জালে উল্টো ফেঁসে গেলেন আবুল হোসেন (৩৯)। তিন লাখ টাকার বিনিময়ে সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ী আবুল হোসেনকে ঠিক করেন স্বামী মো. ইউসুফ ও দ্বিতীয় স্ত্রী কোহিনুর। পরিকল্পনা অনুযায়ী নাটক সাজালেও শেষ রক্ষা হয়নি হোসেনের। অন্যদের ফাঁসাতে গিয়ে নিজেই ফেঁসে গেলেন ৬ মামলার আসামি আবুল হোসেন।
বুধবার রাত ২টার দিকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে বৃহস্পতিবার সকালে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে র্যাব। আবুল হোসেন চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া মরিয়মনগর ইউপি আমিন কোড়ালপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুল হাকিমের ছেলে। বর্তমানে কাপ্তাই রাস্তার মাথা সংলগ্ন সিঅ্যান্ডবি গ্যাস কলোনির পাশে একটি ভবনের চতুর্থ তলায় বসবাস করেন।
র্যাব জানান, এ সময় তাঁর কাছ থেকে একটি ওয়ান শ্যুটারগান, একটি পাইপগান, এক রাউন্ড কার্তুজ ও ২ হাজার ২৫০ পিস ইয়াবা জব্দ করা হয়। তবে মাদক-অস্ত্র নাটক পরিকল্পনার মূল হোতা ইউসুফ ও দ্বিতীয় স্ত্রী কোহিনুর পালিয়ে গেছেন।
পলাতক আসামিরা হলেন— রাঙ্গুনিয়া পশ্চিম মুহরা শেখপাড়া সৈয়দবাড়ীর মৃত মাওলানা আবুল খায়েরের ছেলে মো. ইউসুফ (৬০) ও তার দ্বিতীয় স্ত্রী কোহিনুর (৪০)। তারা চান্দগাঁও দেওয়ান মহসিন সড়ক গোলাপের দোকানের পূর্ব পাশে থাকতেন।
আসামি আবুল হোসেনের তথ্য মতে, বেডরুমের ফলস ছাদের ওপর ১টি দেশীয় ওয়ান শুটার গান, ১টি দেশীয় লোহার তৈরি ককিং হ্যান্ডেল যুক্ত পাইপ গান, ১টি কার্তুজসহ ওয়্যারড্রপের ড্রয়ারে ২ হাজার ২৫০ পিস ইয়াবা পাওয়া যায়। এ সময় নাসরিন জানান, তিনি এসবের কিছুই জানেন না।
র্যাব কর্মকর্তারা জানায়, মোহরা এলাকায় ইউসুফের দুই স্ত্রী। স্বামীর জায়গা জমি নিয়ে প্রথম স্ত্রী নাসরিন আকতারের সঙ্গে কোহিনুর আকতারের বিরোধ রয়েছে। এই বিরোধের জের ধরে নাসরিন আকতার ও তার নাবালক ছেলে মো. সোহানকে ফাঁসানোর পরিকল্পনা করে কোহিনুর আকতার।
তাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী নাসরিন ও তাঁর নাবালক ছেলে ঘরে না থাকা অবস্থায় গত সোমবার ৬ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় এসব অস্ত্র, গুলি এবং ইয়াবা ঘরে রেখে আসে তাঁরা। র্যাবের অভিযান শেষ হলে এ বাবদ কোাহিনুর ও ইউসুফ ৩ লাখ টাকা দেবেন বলে জানান আবুল হোসেনকে।
পরে তার বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদক আইনে পৃথক দুটি মামলা দেওয়া হয়েছে। পরে তাকে চান্দগাঁও থানায় সোপর্দ করা হয় বলে জানান র্যাব।
জে-আর
Leave a Reply