চট্টগ্রাম জেলার মিরসরাইয়ে উপজেলা পর্যায়ে চলমান ৪৯ তম গ্রীষ্মকালীন জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতার অংশ হিসেবে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। এঘটনায় জয়ী দলের শ্রাবণ ও রাজা নামের দুই খেলোয়াড গুরুত্ব আহত হলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে চট্টগ্রাম মেডিকেলে তাদের প্রেরণ করা হয়।
১০ সেপ্টেম্বর (শনিবার) সকালে উপজেলা স্টেডিয়াম মাঠে সেমিফাইনালে করেরহাট কামিনী মজুমদার উচ্চ বিদ্যালয় ২ গোলে মিরসরাই সরকারি পাইলট স্কুলকে হারানোর পর এঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, সকালে গ্রীষ্মকালীন জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতার অংশ হিসেবে উপজেলার স্টেডিয়াম মাঠে সেমিফাইনালে মিরসরাই সরকারি পাইলট স্কুল বনাম করেরহাট কামিনী মজুমদার উচ্চ বিদ্যালয়ের মধ্যকার ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় মিরসরাই পাইলট স্কুলের জালে দুই গোল দেয়ার পর মাঠের বাইরে থেকে ঐস্কুলের সমর্থকরা বিভিন্ন উস্কানিমূলক কথা বলে।
পরবর্তীতে ম্যাচ হারার পর করেরহাট কামিনী মজুমদার উচ্চ বিদ্যালয়ের খেলোয়াড়-সমর্থকরা ফেরার উদ্দেশ্যে গাড়িতে উঠার সময় তাদের উপর অতর্কিত হামলা চালানো হয়।
এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে বলে জানাযায়। তবে হতাহতের নির্দিষ্ট সংখ্যা জানাযায় নি।
করেরহাট কামিনী মজুমদার উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বাহার উদ্দিন জানান, আমাদের ছেলেদের উপর হঠাৎ অতর্কিত হামলা চালানো হয়। এতে বেশ কয়েকজন খেলোয়াড় ও সমর্থক আহত হয়েছে।
তবে শ্রাবণ ও রাজা নামের দুই খেলোয়াড় গুরুত্ব আহত হলে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল পাঠানো হয়েছে।
মিরসরাই থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ কবির হোসেন জানান, মিরসরাই স্টেডিয়াম মাঠ থেকে ফেরার পথে করেরহাট কামিনী মজুমদার উচ্চ বিদ্যালয়ের খেলোয়াড়দের উপর হামলা হয়েছি শুনে সাথে সাথে পুলিশের টিম পাঠিয়েছি। তবে সেসময় সেখানে কাউকে পাওয়া যায়নি।
এবিষয়ে জানতে মিরসরাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিনহাজুর রহমানের মুঠোফোনে দুপুর ১.১৫ টায় কল দিলে তিনি রিসিভ করেননি। তাই তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
জে-আর
Leave a Reply