সারাদেশের মত চট্টগ্রামেও মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা আজ ১৫ সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার) শুরু হচ্ছে। এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশে সম্পন্ন করতে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ড কর্তৃপক্ষ গঠন করেছে স্পেশাল ভিজিল্যান্স টিম।
গত বছরের তুলনায় এ বছর চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডে পরীক্ষার্থী কমেছে প্রায় ১১ হাজার। শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। বন্ধের দিনেও খোলা রাখা হয়েছে বোর্ড।
চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক নারায়ন চন্দ্র নাথ বলেন, এবারের এসএসসি পরীক্ষা সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশে সম্পন্ন করতে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে শিক্ষা বোর্ড। শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে শনিবার বন্ধের দিনেও খোলা রাখা হয়েছে বোর্ড। এছাড়াও ৮টি স্পেশাল ভিজিল্যান্স টিম গঠন করা হয়েছে।
জানা যায়, মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষায় এ বছর চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের অধীনে প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজার পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করবে। গেল বছর ১ লাখ ৬১ হাজার ১’শ ২২ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়েছে। সে হিসেবে এবার পরীক্ষার্থী কমেছে ১১ হাজার ১’শ ২২ জন।
চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ড সূত্র জানান, এ বছর ১ হাজার ৯২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা ২’শ ১৩টি কেন্দ্রে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেবে। এরমধ্যে চট্টগ্রাম নগর ও জেলার ১ লাখ ৫ হাজার ৯’শ ২০ জন শিক্ষার্থী ১’শ ২৫টি কেন্দ্রে, কক্সবাজারের ২৩ হাজার ৪’শ ৩১ জন শিক্ষার্থী ২৯টি কেন্দ্রে পরীক্ষায় অংশ নেবে।
এছাড়াও তিন পার্বত্য জেলার মধ্যে রাঙামাটির ৭ হাজার ৬’শ ৫৮ জন শিক্ষার্থী ২১টি কেন্দ্রে, খাগড়াছড়ির ৮ হাজার ৬’শ ৬০ জন শিক্ষার্থী ২৩টি কেন্দ্রে এবং বান্দরবানের ৪ হাজার ৪৩ জন শিক্ষার্থী ১৫টি কেন্দ্রে পরীক্ষায় অংশ নেবে।
বরাবরের মতো এবারও ছেলে পরীক্ষার্থীর চেয়ে মেয়ে পরীক্ষার্থীর সংখ্যাই বেশি চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডে। এ বছর ছেলে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৬৮ হাজার ২’শ ২৫ জন। অন্যদিকে মেয়ে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৮১ হাজার ৪’শ ৮৭ জন।
ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ থেকে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক পরীক্ষার্থী অংশ নেবে এ বছর। ৬০ হাজার ২’শ ৪ জন পরীক্ষার্থী এ বিভাগ থেকে পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে। এছাড়াও মানবিক বিভাগ থেকে ৫৯ হাজার ১’শ ৩৭ জন এবং বিজ্ঞান বিভাগ থেকে ৩০ হাজার ৩’শ ৭১ জন পরীক্ষার্থী এ বছর এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেবে।
প্রশ্নপত্র ফাঁস ঠেকাতে দুই স্তরের নিরাপত্তা
এবারের এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র কেন্দ্রে পাঠাতে দুই স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হচ্ছে। অ্যালুমিনিয়াম ফয়েলের প্যাকেটে ভরে প্রশ্নপত্র কেন্দ্রে পাঠানো হবে।অ্যালুমিনিয়াম ফয়েলের প্যাকেট যাতে কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সেজন্য এসব প্যাকেটের ওপর আরেকটি নিরাপত্তা প্যাকেট ‘নিরাপত্তা ট্যাগ’ দিয়ে মোড়ানো থাকবে। এতে কেন্দ্রে পাঠানোর সময় প্রশ্নপত্র ফাঁসের কোনো সম্ভাবনা থাকবে না বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হবে
পরীক্ষার শুরুর পূর্ব মুহুর্তে প্রশ্নপত্রফাঁস ঠেকাতে পরীক্ষার্থীদের নির্দিষ্ট সময়ের ৩০ মিনিট আগে কেন্দ্রে উপস্থিত থাকতে হবে।
পরীক্ষায় যেকোন ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে জেলা ও পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করবে শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তাদের নেতৃত্বে গঠিত ৮টি স্পেশাল ভিজিল্যান্স টিম। এছাড়াও গঠন করা হয়েছে ৬০টি সাধারণ ভিজিল্যান্স টিম।
জে-আর
Leave a Reply