পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড.আব্দুল মোমেন ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল রাষ্ট্রীয় ব্যস্ততার কারণে ভারত সফরে যাননি বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে প্রত্যাগত প্রবাসী আওয়ামী ফোরামের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ওবায়দুল কাদের বলেন, পররাষ্ট্র ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ভারত সফর বাতিল বা বয়কটের কোনো বিষয় নয়। বিজয় দিবস ও শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস আমাদের দুয়ারে সমাগত। তাই তারা রাষ্ট্রীয় ব্যস্ততার কারণে এ সফরে না-ও যেতে পারেন। তবে পরে যাবেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, সফর চিরতরে বাতিল হয়নি। আমাদের সঙ্গে ভারতের গঠনমূলক বন্ধুত্ব রয়েছে। কোনো বিষয়ে সমস্যা তৈরি হলে দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা সম্ভব।
ভারতের জাতীয় নাগরিক নিবন্ধন (এনআরসি) নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে সেতুমন্ত্রী বলেন, ভারত স্বাধীন-সার্বভৌম দেশ। দেশটির পার্লামেন্টে একটি আইন পাস হয়েছে, সেটি তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এ নিয়ে আমাদের মন্তব্য করা সমীচীন নয়। তবে যে বিষয়গুলো আমাদের অ্যাফেক্ট করে বা প্রতিক্রিয়াটা আমাদের কাছে আসে বা আমরা অ্যাফেক্টেড হই, অব্যশই আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় রয়েছে, সেখান থেকে এরই মধ্যে এ বিষয়ে বক্তব্য এসেছে।
মন্ত্রী বলেন, ‘শুধু এটুকু বলব, পঁচাত্তরের পর শেখ হাসিনার সরকারই একমাত্র সংখ্যালঘুবান্ধব সরকার। বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির উজ্জ্বল উদাহরণ। আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে হয়তো একটা-দুটো বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটে। আমরা এ দুর্বৃত্তায়নের চক্র ভেঙে দিতে চাই।’
বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালও তার পূর্বনির্ধারিত ভারত সফর বাতিল করেছেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তিন দিনের সফরে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর নয়াদিল্লি যাওয়ার কথা ছিল। আর শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ভারতের মেঘালয়ে যাওয়ার কথা ছিল।
ভারতীয় পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ লোকসভায় সোমবার (৯ ডিসেম্বর) নাগরিকত্ব বিল পাস হয়। বুধবার (১১ ডিসেম্বর) বিজেপি নেতৃত্বাধীন ভারত সরকার তাদের রাজ্যসভায় নাগরিকত্ব বিলটি পাস করে।
Leave a Reply