চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় মাওলানা মুহাম্মদ ইলিয়াছ (৩২) নামে এক মসজিদ ইমামের রহস্য জনক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। আজ ২২ সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার) রাতে উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের গহিরা গ্রামের জাফর আহমদের বাড়িতে এঘটনা ঘটে।
স্থানীয়দের সহযোগিতায় ইমামকে উদ্ধার করে আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত্যু ঘোষণা করেন এবং বিষপানে মৃত্যু ঘটেছে বলেও জানান তারা। নিহত ইলিয়াছ বাঁশখালী উপজেলার গÐামারা ইউনিয়নের আবদুল আমিনের পুত্র। সে চট্টগ্রাম নগরীর একটি জামে মসজিদে চাকরি করতেন বলে যানা যায়।
আনোয়ারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর্জা মুহাম্মদ হাছান বলেন, এঘটনায় নারীসহ দুইজনকে আটক করা হয়েছে। আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত করে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিহত মৌলানা মুহাম্মদ ইলিয়াছ রায়পুর ইউনিয়নের গহিরা এলাকায় ইমাম থাকাকালীন স্থানীয় জাফরের স্ত্রীর জন্নাতুল মাওয়া নিপা’র সাথে পরকীয়া সম্পর্কে লিপ্ত হয়। তাদের সম্পর্কের বিষয়টি জানাজানি হলে স্বামী জাফর নিপাকে তালাক দেন এবং ইমামকে ১ বছর আগে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেন মসজিদ পরিচালনা কমিটি।
নিহতের স্ত্রী নাহিদা আকতার (২৬) বলেন, ২০২০ সালের ১৩ জুলাই আমাদের পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয়। বিবাহের দুই মাস পরে গহিরা এলাকার একটি মসজিদে চাকরি নেন। সেখানে জাফর আহমদ নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে উনার পরিচয় হয়। এরপর আমরা শুনতে পাই জাফর আহমদের স্ত্রীর সঙ্গে উনার সম্পর্কের কথা।
তাদের সম্পর্কের বিষয়টি জানাজানি হলে জাফর আহমদ তার স্ত্রীকে তালাক দিয়ে দেন এবং আমার স্বামীও সেখান থেকে বাড়িতে চলে আসে। এটি একটি পরিকল্পিত ভাবে হত্যাকাÐ। আমার স্বামীকে মেরে ফেলেছে তারা। আমি আমার স্বামীর হত্যাকাÐের বিচার চাই।
নিহতের ভাই মোহাম্মদ ইউসুফ জানান, রাত ১টা ২১ মিনিটে আমার মোবাইলে একটি এসএমএস আসে আমার ভাইয়ের মোবাইল থেকে। এসএমএসে লেখা ছিলো ‘ইউসুফ রিফার ভাইরা আমাকে এনে বিষ খাওয়াই দিচ্ছে’ আমি গহিরা? এটি পেয়ে দ্রæত আমি সকলকে পরিবারকে জানায় এবং সকলকে নিয়ে সকালে আনোয়ারায় ছুঁটে আসি।
জে-আর
Leave a Reply