তামিম-থিসারা নৈপুণ্যে জয়ের স্বাদ পেল ঢাকা

চলতি বিপিএলের প্রথম ম্যাচে ব্যর্থ হলেও দ্বিতীয় ম্যাচে ছন্দ ফিরে পেলেন দেশসেরা ওপেনার তামিম ইকবাল। এদিন ব্যাট হাতে তামিমের সাথে ঝড় তুলেছিলেন থিসারা পেরেরা। বল হাতেও কম গেলেন না এই লঙ্কান ক্রিকেটার। একাই তুলে নিয়েছেন ৫ উইকেট। চলতি বিপিএলে নিজেদের প্রথম ম্যাচে হারলেও আজ জয় তুলে নিয়েছে ঢাকা প্লাটুন। কুমিল্লা ওয়ারিয়র্সকে হারিয়েছে ২০ রানের ব্যবধানে।

ঢাকার দেওয়া ১৮১ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে উড়ন্ত সূচনা করে কুমিল্লা। উদ্বোধনী জুটিতে মাত্র ২ ওভার ৫ বল থেকে ৩২ রান এনে দেন ভানুকা রাজাপাকশা ও ইয়াসির আলী। যেখানে ১২ বলে ২৯ রানের ছোটখাটো এক ঝড় তোলেন ভানুকা। লঙ্কান এই ব্যাটসম্যানের আউটের ৪ রান পরে একই পথ ধরেন ইয়াসির। এরপর ডেভিড মালানকে নিয়ে কুমিল্লা দলের হাল ধরেন সৌম্য সরকার। তৃতীয় উইকেট জুটিতে দুজন যোগ করেন ৫০ রান।

২৬ বলে ৩৫ রান করে সৌম্য ওয়াহাব রিয়াজকে উইকেট দেওয়ার পর বেশিক্ষণ টিকেননি নতুন ব্যাটসম্যান সাব্বির রহমানও। মাত্র ৪ রান করে পেরেরার প্রথম শিকারে পরিণত হন তিনি। কুমিল্লা শিবিরে সবথেকে বড় ভরসা যাকে নিয়ে, সেই শানাকা আউট হয়েছেন কোনো রান না করে। ফলে ৯৮ রান তুলতেই ৫ উইকেট হারিয়ে বসে ওয়ারিয়র্স। শেষদিকে মালান আর মাহিদুল চেষ্টা করলেও লাভ হয়নি তাতে।

শেষ ৫ ওভারে জয়ের জন্য কুমিল্লার ৬২ রান প্রয়োজন হলে ৪১ রান তুলতে পারে কুমিল্লা। নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে থামে ১৬০ রানে। ফলে ২০ রানে জয় তুলে নেয় ঢাকা। বঙ্গবন্ধু বিপিএলে এটিই ঢাকা প্লাটুনের প্রথম ম্যাচ জয়। ব্যাট হাতে ৪২ রানের ইনিংসের পাশাপাশি বোলিংয়েও ৫ উইকেট তুলে নিয়েছেন পেরেরা।

এর আগে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের প্রথম বলে আউট হয়ে যান এনামুল হক বিজয়। শুরুর ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে বেশ সময় লাগে ঢাকার। ধীরগতির ব্যাটিং করতে থাকেন তামিম এবং মেহেদী হাসান। পরে মেহেদী ১২ রান করে আউট হলে দেখেশুনে কুমিল্লার বোলারদের মোকাবেলা করতে থাকেন তামিম ও লরি ইভান্স। ৫৬ বলে দলীয় অর্ধশত রান পার করা ঢাকা পরে খোলস ছেড়ে বের হয় ইনিংসের দশম ওভারে।

১০ থেকে ১৩ ওভারে দলীয় স্কোরে যোগ করে ৪২ রান। এরই এক ফাঁকে নিজের ফিফটি তুলে নেন তামিম। তাতে অবশ্য বল খরচ করেন গুনে গুনে ৪০টি। দলীয় ১০১ রানের মাথায় শানাকার বলে আউট হন ইভান্স। এর আগে তামিমের সাথে গড়ে যান ৭৫ রানের পার্টনারশিপ। এরপর হাত খুলে খেলতে শুরু করেন তামিম, সাথে যোগ দেন পেরেরা। আবু হায়দারের করা ইনিংসের ১৬ তম ওভারে টানা ৪টি চার মারেন পেরেরা, তার আগে হাঁকিয়েছেন আরো একটি ছয়।

এরপর সাজঘরের পথ ধরেন তামিম। আউট হওয়ার আগে খেলেন ৫৩ বলে ৭৪ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস। যেখানে ৬টা চারের সাথে ৪টা ছক্কা হাঁকিয়েছেন এ বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। শেষদিকে মাত্র ১৭ বলে পেরেরার অপরাজিত ৪২ রানের সুবাদে নির্ধারিত ওভার শেষ ১৮০ রানের পুঁজি পায় ঢাকা।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

ঢাকা প্লাটুন: ১৮০/৭ (২০ ওভার) তামিম ৭৪, পেরেরা ৪২, ইভান্স ২১; সৌম্য ২/৩৯, শানাকা ২/৪৮

কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স: ১৬০/৯ (২০ ওভার) মালান ৪০, সৌম্য ৩৫, মাহিদুল ইসলাম ৩৭, ভানুকা ২৯; পেরেরা ৫/৩০, রিয়াজ ২/১৬

ফলাফল: ঢাকা ২০ রানে জয়ী।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *