১৭০ রানের লক্ষ্য হয়তো তাড়া করে জয় সম্ভব ছিল না আরব আমিরাতের জন্য; কিন্তু ম্যাচ হারার আগেই হেরে বসেনি তারা। বাংলাদেশের বোলারদের বিপক্ষে বুক চিতিয়ে লড়াই করেছে তারা। শেষ পর্যন্ত ৩২ রানে হেরে গেলেও আরব আমিরাতের খেলায় ছিল সুষ্পষ্ট লড়াইয়ের ছাপ।
প্রথম ম্যাচে ১৫৮ রান করে প্রায় হারতে বসেছিল বাংলাদেশ। যদিও শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ জিতেছিল মাত্র ৭ রানের ব্যবধানে। দ্বিতীয় ম্যাচে ব্যাটারদের ব্যাটে মোটামুটি রান এসেছে। ৫ উইকেট হারিয়ে ১৬৯ রান তুলেছিল বাংলাদেশ। সে সঙ্গে ২ ম্যাচের সিরিজ ২-০ ব্যবধানে জিতে নিলো টাইগাররা।
জবাবে ১৭০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৩৭ রানে থেমেছে আরব আমিরাতের ইনিংস। সর্বোচ্চ ৫১ রান করে অপরাজিত থাকেন অধিনায়ক সি রিজওয়ান। ৩৬ বলে খেলা ইনিংসটি তিনি সাজান ২টি বাউন্ডারি এবং ২ ছক্কায়।
১৭০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই একের পর এক উইকেট হারাতে শুরু করে আরব আমিরাত। দলীয় ৯ রানের মাথায় ওপেনার চিরাগ সুরি নাসুম আহমেদের হাতে রিটার্ন ক্যাচ দেন। ১০ বলে ৫ রান করে আউট হন তিনি।
দলীয় ২৭ রানের মাথায় মোহাম্মদ ওয়াসিম ১৬ বলে ১৮ রান করে আউট হয়ে যান তাসকিন আহমেদের বলে। ২টি ছক্বার মার মারেন তিনি। আরব আমিরাতকে ২৯ রানে বসিয়ে রেখে আরও দুটি উইকেট তুলে নেন বাংলাদেশের বোলাররা। দুটি উইকেটই নেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, পরপর দুই বলে। হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগিয়ে তুলেও তা আর হলো না।
তবে ২৯ রানে ৪ উইকেট হারানোর পরই ঘুরে দাঁড়ায় আরব আমিরাত। ৯০ রানের জুটি গড়ে তোলেন অধিনায়ক সি রিজওয়ান এবং মিডল অর্ডার ব্যাটার বাসিল মোহাম্মদ।
দলীয় ১১৯ রানে ৪০ বলে ৪২ রান করে এবাদত হোসনের বলে আউট হন বাসিল। ৪টি বাউন্ডারির মার মারেন তিনি। এরপর অবশ্য আর কোনো উইকেট হারাতে হয়নি বাংলাদেশকে।
৫ বলে ৮ রান করে অপরাজিত থাকেন জাওয়ার ফরিদ। বাংলাদেশের হয়ে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ২ উইকেট নেন। ১টি করে উইকেট নেন তাসকিন আহমেদ, নাসুম আহমেদ এবং এবাদত হোসেন।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে হয় বাংলাদেশ দলকে। মেকশিফট ওপেনার মেহেদী হাসান মিরাজের ব্যাটে আসে সর্বোচ্চ ৩৭ বলে ৪৬ রাান। সাব্বির রহমান করেন ৯ বলে ১২ রান। লিটন দাস আউট হন ২০ বলে ২৫ রান করে। আফিফ হোসেন ধ্রুব আউট হন ১০ বলে ১৮ রান করে।
মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত করেন ২২ বলে ২৭ রান। ১৩ বলে ২১ রান করে অপরাজিত থাকেন ইয়াসির আলী রাব্বি। নুরুল হাসান সোহান ১০ বলে করেন ১৯ রান।
২৪ঘণ্টা/বিআর
Leave a Reply