তুলসী গাছ প্রায় সবার বাড়িতেই থাকে। বাড়ির উঠানে বা টবে শোভা পায় তুলসী গাছ। এই গাছের গুণাগুণ বলে শেষ করা যাবে না। এর পাতা থেকে শুরু করে বীজ পারে বিভিন্ন রোগের জাদুকরি সমাধান দিতে।
তুলসী গোটা গাছটার মধ্যেই রয়েছে অনেক গুণ। এ গাছের প্রতিটি অঙ্গে গুণের সমাহার। এবার মাথায় রাখার বিষয় হলো, এই গাছ আপনার সমস্যার সমাধান করতে পারে। পেটের সমস্যা থেকে শুরু করে নানা ইমিউনিটি বাড়ায় তুলসীর বীজ। এক্ষেত্রে তুলসী পাতা থেকে শুরু করে তুলসীর বীজ ভালো। তাই আপনি অবশ্যই তুলসী পাতার বীজ প্রতিদিন খান।
তুলসী পাতার বীজ কিন্তু বিভিন্ন রোগের সঙ্গে লড়াই করতে সাহায্য করে। আর এটা কেবল কথার কথা নয়। বিভিন্ন গবেষণায় প্রমাণ হয়েছে সেই বিষয়টি।
তুলসী বীজের উপকারিতা: ভারতের ন্যাশনাল লাইব্রেরি অব মেডিসিনে প্রকাশিত গবেষণায় বলা হয়েছে, তুলসীর বীজে রয়েছে অনেকটা প্রোটিন থেকে শুরু করে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড, ডায়েটরি ফাইবার, মিনারেলস, ফ্ল্যাভানয়েডস ও ফলিফেনলস। এ কারণে বিভিন্ন রোগ থেকে মানুষকে মুক্ত করতে পারে এই খাবার।
পেট ভালো রাখে তুলসীর বীজ: দেখা গেছে, গ্যাস থেকে শুরু করে অ্যাসিডিটি, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে দিতে পারে তুলসীর বীজ। আসলে তুলসীর বীজে রয়েছে এমন কিছু ডায়েটরি ফাইবার যা পেটের জন্য ভালো।
ইমিউনিটি বাড়ায় তুলসীর বীজ: তুলসীর বীজ এই গাছের পাতার মতোই উপকারী। এক্ষেত্রে এই বীজে রয়েছে জরুরি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন ও খনিজ। তাই প্রতিটি মানুষকে মাথায় রাখতে হবে যে ইমিউনিটি বাড়ায় তুলসীর বীজ। তাই নিয়মিত তুলসীর বীজ খেলে উপকার পাবেন।
ওজন কমাতে পারে তুলসীর বীজ: ওজন বেশি থাকা একটা মহাসমস্যা। মাথায় রাখতে হবে যে এই খাবারে থাকা ফাইবার পেট ভরাতে পারে। তাই খিদে কম পায়। এমনকী সহজে সমস্যা কমতে পারে। তাই এই বিষয়টি মাথায় রাখা দরকার।
তাই খেয়ে নিন কয়েক টুকরো তুলসীর দানা। খুব কম পরিমাণে খান। প্রথমে ধুয়ে তারপর বেটে খেয়ে নিতে পারেন। শুধু পানি নিয়ে এই বীজ খেলে উপকার মেলে।
প্রতিবেদনটি সচেতনতার উদ্দেশ্যে লেখা হয়েছে। কোনও সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
এন-কে
Leave a Reply