গরমে আরাম পেতে এই সময় সবাই কমবেশি আইসক্রিম খেতে পছন্দ করেন। শিশুদের মধ্যে আইসক্রিম খাওয়ার প্রবণতা সবচেয়ে বেশি লক্ষ করা যায়। অনেকেই লোভনীয় এই স্বাস্থ্যঝুঁকি খাবারটিকে এড়িয়ে চলতে চেষ্টা করেন। এই সিদ্ধান্ত কতটা যুক্তিযুক্ত, জানেন কি?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অতিরিক্ত আইসক্রিম খাওয়ার প্রবণতা শরীরে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। যেমন ওজন বৃদ্ধি, টনসিলের সমস্যা ইত্যাদি।
তবে খুব ঠাণ্ডা অবস্থায় আইসক্রিম না খেলেই কিন্তু আপনি এ থেকে কোনো ক্ষতিকর প্রভাব না পেয়ে শুধু উপকারিতাটুকুই পেতে পারেন। তাই আসুন আজকের আয়োজন থেকে জেনে নিই আইসক্রিম খাওয়ার কিছু উপকারিতার কথা।
আইসক্রিম দুধ থেকে তৈরি করা হয়। তাই আইসক্রিম খাওয়ার অভ্যাসকে স্বাস্থ্যকর বলাই যায়। এতে রয়েছে প্রোটিন , ফ্যাট এবং কার্বোহাইড্রেটের মতো প্রয়োজনীয় উপাদান। তাই আইসক্রিম খাওয়ার পর আপনি দ্রুত এনার্জি পেয়ে যাবেন শরীরে।
এসব উপাদান ছাড়াও আইসক্রিম থেকে যেসব উপাদানগুলো পাওয়া যায় তা হলো ক্যালসিয়াম, জিঙ্ক, পটাশিয়াম, আয়োডিন, ফসফরাস, ভিটামিন এ এবং বি কমপ্লেক্সের মতো খনিজ পদার্থ; যা শরীরকে সতেজ ও প্রাণবন্ত রাখতে কাজ করে।
আইসক্রিমে এসব উপাদানের উপস্থিতি থাকার কারণে এটি হাড় মজবুত রাখে। পাশাপাশি শরীরে রোগপ্রতিরোধ বাড়িয়ে শ্বাসযন্ত্র এবং গ্যাস্ট্রোইনস্টেনটিনালের সুরক্ষা নিশ্চিত করে। আর যদি আইসক্রিমে থাকে বিভিন্ন ধরনের ড্রাইফুড তাহলে তো কথাই নেই।
এ ছাড়া আইসক্রিমে ট্রিপটোফ্যান নামে একধরনের উপাদানের উপস্থিতি থাকে যার কারণে এটি হ্যাপি হরমোন বা সেরোটোনিন নিঃসরণের গতিকে বাড়িয়ে দেয়। তাই জীবনে সুখী অনুভব বাড়িয়ে নিতে একটু আইসক্রিম খাওয়ার অভ্যাস করতেই পারেন।
এন-কে
Leave a Reply