ডিমের ৭ উপকারিতা

শুক্রবার (১৪ অক্টোবর) বিশ্ব ডিম দিবস। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও দিবসটি পালিত হচ্ছে। ‘প্রতিদিন একটি ডিম, পুষ্টিময় সারাদিন’ প্রতিপাদ্য নিয়ে এ বছর বিশ্বব্যাপী ডিম দিবস উদযাপন করা হবে।

একটি ডিমে প্রায় ৬ গ্রাম প্রোটিন, ৫ গ্রাম উন্নত ফ্যাটি এসিড, ৭০-৭৭ কিলোক্যালরি শক্তি, ১০০-১৪০ মিলিগ্রাম কোলিন ও অন্যান্য পুষ্টি উপকরণ থাকে। এ ছাড়াও ডিমে রয়েছে লিউটিন ও জেক্সানথিন। পাশাপাশি ডিমে থাকা ডেনসিটি লিপোপ্রোটিন হৃদরোগ প্রতিরোধেও সাহায্য করে।

ডিমের নানান স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। এমন কিছু উপকারিতা সম্পর্কে চলুন জেনে নিই…

শক্তি বাড়ে

দ্রুত শক্তি পেতে ডিম অনেক উপকারি। এতে রয়েছে ভিটামিন বি, যা শরীরে বাড়তি শক্তি জোগায়। প্রতিদিন সকালের নাস্তায় একটি করে সেদ্ধ ডিম, একটি ক্লান্তিহীন একটি দিনের সহায়ক।

দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি

ডিমে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ রয়েছে। যা দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে কার্যকরী।

পেশী মজবুত

সারাদিনের কর্মব্যস্ততায় শেষে অনেকেই পেশী ব্যথায় ভোগেন। এ ক্ষেত্রে ডিম উপকারি। কারণ ডিমে প্রচুর ভিটামিন ডি রয়েছে, যা পেশী মজবুত করে।

নখের যত্নে

তরুণীদের একটি অংশ নখ নিয়ে অনেক বেশি সচেতন। নখের যত্নে ডিম কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। কারণ ডিমে রয়েছে সালফার। তাই নখের যত্নে ও নখ ভেঙ্গে যাওয়া রোধে ডিমের ভূমিকা অন্যতম। এ ছাড়া ডিম নখ সাদা ও সুন্দর রাখতেও উপকারি।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়

অনেকেই ঘন ঘন সর্দি-কাশি বা জ্বরে ভোগেন। তারা ডিম খেতে পারেন। কারণ ডিমে রয়েছে জিংক, যা দেহের ইমিউনিটি সিস্টেমকে শক্তিশালী করে।

হাড় ও দাঁতে মজবুতে

ডিমে থাকা ফসফরাস হাড় ও দাঁত মজবুতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে। তাই হাড় ও দাঁত মজবুত রাখতে ডিম খান।

প্রোটিনের ঘাটতি

ডিমে রয়েছে অ্যামিনো অ্যাসিড, যা প্রোটিনের মূল উৎস। তাই প্রোটিনের ঘাটতি মেটাতে ডিম খান।

এন-কে

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *