চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলায় নদী ভাঙ্গন ও শব্দ দূষণ এখন জনজীবনে প্রধান বিষ ফোঁড়া। ফেনী নদী থেকে বালু উত্তোলনের ফলে করেরহাট ইউনিয়নের পশ্চিম অলিনগরের লিচুতলা এলাকায় ঘর ধসে নদীতে পড়ে যাওয়ার শঙ্কায় রয়েছে শতাধিক পরিবার। যেকোনো সময় পরিবারগুলো ভাঙ্গনের কবলে পড়তে পারে। দীর্ঘ বেশ কিছু সময় পার হলেও এখনও নদী ভাঙনের কবল থেকে পরিত্রাণ পেতে কোনো উদ্যোগ নেয়নি প্রশাসন।
আবার অনেক পরিবারের বসতঘরের পেছনে নদী আর সামনে বিশাল বালুর স্তুপ। এতে বাড়িঘর থেকে বের হতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, বর্তমানে বালু উত্তোলন বন্ধ থাকলেও পড়ে আছে শ্যালো মেশিন, ইঙ্গিত যেন যেকোন সময় শুরু হতে পারে উত্তোলনের কাজ। অপরদিকে, ছাগলনাইয়া উপজেলা অংশে বালু উত্তোলনের কারণে দিনরাত চলে শ্যালো মেশিন। এতে শ্যালো মেশিনের অতিরিক্ত আওয়াজে জনজীবন দুর্বিসহ হয়ে উঠেছে। অপরদিকে বর্ষা হলেই নদীর পানি ঘরের অর্ধাংশ ডুবে যায়। এতে বেঁচে থাকা হুমকির মুখে পড়ে।
স্থানীয় বাসিন্দা মহিউদ্দীন বলেন, কিছুদিন আগে সরকারি কিছু লোক এসে জায়গাগুলো দেখেন গেছেন। কিন্তু এখনও কোন কাজ না করায় হুমকির মুখে আছে এখানকার প্রায় শতাধিক পরিবার। এরআগে নদী ভাঙন রোধে সরকারের পক্ষ থেকে কিছু ব্লক দেয়া হলেও অতিরিক্ত বালু উত্তোলনের কারণে সেগুলোও পড়ে গেছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিনহাজুর রহমান বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডকে এবিষয়ে জানানো হয়েছে যাতে ভাঙন রোধে ব্লক বসানো হয়। কিন্তু তারা এখনও কোনো কাজ করেনি। আমরা তাদের সাথে আবার কথা বলবো এবং আগামী উপজেলা মাসিক সভায় বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবো।
এবিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড চট্টগ্রাম বিভাগীয় জোনাল-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী নাহিদুজ্জামান, খুব দ্রুত পরিদর্শনে প্রতিনিধি পাঠানো হবে এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে।
২৪ ঘণ্টা / জেআর
Leave a Reply