ওজন কমাতে প্রচুর শসা খাচ্ছেন? ডেকে আনছেন বিপদ!

স্বাস্থ্য সচেতন ব্যক্তিদের দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় শসা একেবারে স্থায়ী জায়গা করে নিয়েছে। কম ক্যালরি যুক্ত ফল শসা। এতে পানির পরিমাণও অনেক। এছাড়া, শসায় ভিটামিন,মিনারেলস এবং ফাইবার থাকে। শসার এত উপকারিতার কারণে অনেকেই সারাদিন ধরে শসা খেতে থাকেন।

শসা মানেই সহজে হজম এবং ওজন কমানোর ওষুধ। এটাই চলতি ধারনা। কিন্তু এই স্বাস্থ্যকর শসা থেকেই ঘটে যেতে পারে বড় বিপদ! অত্যধিক শসা খেলে স্বাস্থ্যের নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে।

চলুন জেনে আসা যাক সেই সমস্যাগুলো…

> অনেক সময় সদ্য কাটা শসাও তেতো লাগে। আর তেতো শসা মানেই তা টক্সিক। কারণ শসাতে কিউকারবিটাসিন এবং টেট্রাসাইক্লিক ট্রাইটারপেনিওডের মতো রাসায়নিক থাকে, যা শসাকে তিক্ত করে তোলে। এই বিষাক্ত রাসায়নিকগুলো স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকারক এবং এর প্রভাবে মারাত্মক অ্যালার্জিও হতে পারে। তাই, তেতো শসা খাওয়া অত্যন্ত বিপজ্জনক।

> শসা ফাইবার সমৃদ্ধ এবং এতে প্রচুর পরিমাণে কিউকারবিটিন রয়েছে। এই কিউকারবিটিন যৌগটিতে মূত্রবর্ধক বৈশিষ্ট্য রয়েছে। তবে শসার মধ্যে মূত্রবর্ধক যৌগের পরিমাণ হালকা। তাই বেশি শসা খেলে ডিহাইড্রেশনের সমস্যা হতে পারে।

> শসা হল পটাসিয়ামের দুর্দান্ত উৎস, যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে। তবে অতিরিক্ত খাওয়া হলে হাইপারক্যালেমিয়ার মতো রোগ দেখা দিতে পারে। বেশি শসা শরীরে পটাসিয়ামের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। এর ফলে পেটে ফোলাভাব, ক্র্যাম্প, গ্যাস এবং কিডনিও ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে।

> শসাতে প্রায় ৯০ শতাংশ পানি থাকে। আর শরীরে যত বেশি পানি যাবে রক্তের পরিমাণ তত বেশি হবে। এর ফলে রক্তনালী এবং হৃদপিন্ডের উপর চাপ পড়ে। ফলে হার্ট এবং রক্তনালীর ক্ষতি হয়।

> যারা সাইনোসাইটিস বা কোনও ক্রনিক রেসপিরেটরি সমস্যায় ভুগছেন, তাদের শসা না খাওয়াই ভালো। চিকিৎসকদের মতে, এই সবজির শীতল প্রভাব রেসপিরেটরি সমস্যা আরও বাড়িয়ে তোলে।

এন-কে

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *