মিরসরাইয়ে মসজিদের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে খাস জমিতে নির্মিত শত বছরের পুরনো উজির আলীকামলা জামে মসজিদ নামে একটি মসজিদের মতোয়াল্লি নিয়োগ নিয়ে ধন্ধের সৃষ্টি হয়েছে। নিয়ম বহিভুর্ত মতোয়াল্লি নিয়োগকে উপেক্ষা করে ৯ সদস্যের পাল্টা কমিটি ঘাষণা করেছে স্থানিয় জনসাধারণ ও মসজিদের মুসল্লিরা। মসজিদের সম্পত্তি বিক্রয় করে ১০ লাখ টাকা আত্মসাতের ঘটনাকে কেন্দ্র্র করে মুসল্লি ও মতোয়াল্লির লাকজনের মধ্যে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়েছে একাধিক বার।

গত বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় মিরসরাই উপজেলার ৯ নং সদর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড, কিছমত জাফরাবাদ উজির আলীকামলা জামে মসজিদ প্রাঙ্গনে একটি সমঝোতা বৈঠকেও দুই পক্ষের মধ্যে হামলার ঘটনা ঘটে। হামলার ঘটনায় কেউ হতাহত না হলেও পরিস্থিতি অত্যন্ত উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। যে কোন সময় ঘটতে পারে রক্তক্ষয়ি সংঘর্ষ।

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মসজিদ প্রাঙ্গনে বৃহস্পতিবার দুপুরে শ’খানেক মুসল্লির জটলা। সবাই হাতাহাতি, ধাক্কাধাক্কি, চেয়ার ছুড়োছুুড়ি আর মারামারিতে ব্যস্ত।

একটু এদিক সেদিক হলেই রক্তারক্তির ঘটনা ঘটতে পারে। এমন অবস্থা দেখে দ্রুত প্রাণ নিয়ে পালিয়েছেন সমঝোতা বৈঠকের প্রধান চট্টগ্রাম ওয়াক্ফ এস্টেট ১নং রিজিওনের পরিদর্শক আনোয়ারুল ইসলাম।

মসজিদের মুসল্লিরা জানান, উজির আলীকামলা জামে মসজিদের বয়স শত বছরের উপরে। এই জমির আরএস, বিএস, পিএস, সিএস সকল দলিলে এটি খাস জমি।

খাস জমির উপর নির্মিত মসজিদের উন্নয়নের লক্ষে এলাকার একাদিক ভূমির মালিকরা বিভিন্ন জমি দান করেছেন। কেউ মুখিক ভাবে করেছেন কেউ দালিলিক ভাবে করেছেন।

কিন্তু ২০১৭ সালের দিকে এলাকার আজিজুল হক (৫৪) পিতা: মৃত আমিনুল হক সহ ৩ জনে একত্রিত হয়ে মসজিদের কোটি টাকার সম্পদ আত্মসাৎ করার উদ্দেশ্যে চট্টগ্রাম ওয়াক্ফ এস্টেট অফিসে ভূয়া কাগজ পত্রের মাধ্যমে ওয়াক্ফ করে আজিজুল হককে গোপনে মতোয়াল্লি নিয়োগ করে।

অভিযুক্ত মতোয়াল্লি আজিজুল হক ও তার ভাতিজা জাকির হোসেন জানান, ওয়াক্ফ করা হয়েছে নিয়ম মেনে। নিয়ম অনুযায়ী বর্তমানে আজিজুল হক মতোয়াল্লি। কিন্তু খাস জমি কিভাবে তিনি ওয়াক্ফ করেছেন তার নথি পত্র চাইলে উপস্থিত কোন নথি দেখাতে ব্যর্থ হন।

স্থানিয় ইউপি সদস্য জানান, মসজিদটি নিয়ে বহুবার বৈঠক হয়েছে। কথিত মতোয়াল্লি আজিজুল হক বৈঠকের সিদ্যান্ত মানেন না। তিনি কিভাবে সরকারি জমি ওয়াক্ফ করেছেন আমাদের জানা নেই।

চট্টগ্রাম ওয়াক্ফ এস্টেট ১নং রিজিওনের পরিদর্শক আনোয়ারুল ইসলাম জানান, খাস জমি ওয়াক্ফ করার সুযোগ নেই। এটি ২০১৭ সালে কিভাবে হয়েছে ওয়াক্ফ আমার জানা নেই।

২৪ ঘণ্টা / জেআর

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *