সীমান্তে সাম্প্রতিক ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ মিয়ানমার বিজিপির

বাংলাদেশের অভ্যন্তরে গোলা এসে পড়া এবং আকাশ সীমা লংঘনসহ সম্প্রতি ঘটে যাওয়া বিভিন্ন ঘটনার জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছে মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি)। আজ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এবং মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি)-এর মধ্যে ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক পর্যায়ে পতাকা বৈঠকে দুঃখ প্রকাশ করে বিজিপি।

সকাল ১০টায় শাহপরীরদ্বীপ বিওপি সংলগ্ন সাউদার্ন পয়েন্টে অধিনায়ক, টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) এবং অধিনায়ক, নম্বর (১) বর্ডার গার্ড পুলিশ ব্রাঞ্চ, পিইন ফিউ, মায়ানমার-এর মধ্যে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে ৮ (আট) সদস্য বিশিষ্ট বিজিবি প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে দেন টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) এর অধিনায়ক লে. কর্ণেল শেখ খালিদ মোহাম্মদ ইফতেখার এবং বিজিপি’র ৭ (সাত) সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন পুলিশ লে. কর্ণেল ইয়ে ওয়াই শো, অধিনায়ক, নম্বর (১) বর্ডার গার্ড পুলিশ ব্রাঞ্চ, পিইন ফিউ।

পতাকা বৈঠকে বাংলাদেশ-মায়ানমার এর সীমান্ত এলাকায় উদ্ভুত পরিস্থিতি ছাড়াও অবৈধভাবে মায়ানমার নাগরিকদের অনুপ্রবেশ ও মাদক পাচার রোধ সম্পর্কে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়।

বন্ধুপ্রতীম দুটি রাষ্ট্রের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে পারস্পারিক যোগাযোগ, আস্থা এবং নির্ভরতার পরিবেশ তৈরির জন্য ভবিষ্যতে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণের জন্য গুরুত্ব আরোপ করা হয়। এছাড়াও বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত এলাকা দিয়ে মিয়ানমার নিরাপত্তা বাহিনীর হেলিকপ্টার উড্ডয়ন, সীমান্ত এলাকায় ক্ষুদ্রাস্ত্র এবং ভারী অস্ত্রের ফায়ারিং, জানমালের ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের প্রধান কর্তৃক তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়। সীমান্তে শান্তিপূর্ণ অবস্থান বজায় রাখা, মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের ফলে চলমান সংঘাতের জের ধরে ভবিষ্যতে যেন বাংলাদেশের অভ্যন্তরে কোন গোলা পতিত না হয় সে ব্যাপারে সজাগ দৃষ্টি রাখার বিষয়ে বিজিপিকে আহ্বান জানানো হয়।

এছাড়াও প্রতিবেশী সীমান্তরক্ষী বাহিনী হিসেবে বিজিবি আশা করে যে, মায়ানমারের চলমান অভ্যন্তরীণ সংকট অতিশীঘ্রই সমাধান হবে এবং সীমান্তে চলমান উদ্ভূত পরিস্থিতি দ্রুত নিরসণ হবে।

সীমান্ত ব্যবস্থাপনা এবং সীমান্তে স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য বিজিবি সবসময় বিজিপি’র নিকট দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের প্রত্যাশা করে। এ বিষয়ে বিজিপি ব্যাটালিয়ন কমান্ডার সম্প্রতি ঘটে যাওয়া বিভিন্ন ঘটনার জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেন। পতাকা বৈঠকে সীমান্তবর্তী জনসাধারণের নিরাপত্তা এবং সীমান্তে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রেখে উভয় দেশের অধিনায়ক একসাথে কাজ করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

পরিশেষে পারস্পরিক বিদায়ী শুভেচ্ছা জ্ঞাপনের মাধ্যমে অত্যন্ত শান্তি ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে বাংলাদেশ সময় বেলা ২টা ৫০ মিনিট পতাকা বৈঠকের পরিসমাপ্তি ঘটে এবং বিজিপি প্রতিনিধিদল বেলা তিনটায় মায়ানমারের উদ্দেশ্যে প্রত্যাবর্তন করে।
২৪ঘণ্টা/এনআর

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *