উত্তর দিবেন কি মাননীয় মন্ত্রী:প্রশ্ন ফারাজ করিমের

সম্প্রতি প্রকাশিত রাজাকারের তালিকায় রাউজানের সাংসদ ও রেলপথ মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরীর পিতা সাবেক পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদের বিরোধীদলীয় নেতা এ.কে.এম. ফজলুল কবির চৌধুরীর নাম অন্তর্ভূক্ত সম্পর্কে নিজের ফেইসবুক ফেইজে মরহুম ফজলুল কবির চৌধুরীর বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবন নিয়ে এক তথ্যবহুল স্ট্যাটাস তুলে ধরেছেন ফজলুল কবির চৌধুরীর নাতি ও রাউজানের সাংসদপুত্র তরুণ রাজনীতিবিদ ফারাজ করিম চৌধুরী। ফারাজের স্ট্যাটাসটি ফেসবুকে এরইমধ্যে ভাইরাল হয়ে গেছে।

ফারাজ করিম চৌধুরীর স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো-
তবে কি একজন রাজাকারের বাড়িতে জাতির পিতার সরকার ৮ জন পুলিশ দিয়ে নিরাপত্তা দিয়েছিলেন এবং ৭২ এ তার মৃত্যুর পর লাশ স্পেশাল সেনা বিমান করে চট্টগ্রাম এনেছিল ? উত্তর দিবেন কি মাননীয় মন্ত্রী ?

রাজা আর তার আবহাওয়া অধিদপ্তরের সেই গল্প শুনেছিলেন না? ঐ যে রাজা তার আবহাওয়া অধিদপ্তরের কথা শুনে মাছ ধরতে আসে আর তখন এক মূর্খ জেলে তাকে প্রশ্ন করে যে ‘জ’মহারাজা আপনি আজ কেন মাছ ধরতে এলেন? আজ তো বৃষ্টি হবে। রাজা তাকে গালি দিয়ে উত্তর দিয়েছিলো ‘মূর্খ, তুই কি জানোস, আমার আধুনিক আবহাওয়া অফিস আমাকে বলেছে আজ কোনো বৃষ্টি হবেনা’। তার কিছুক্ষন পর বৃষ্টি শুরু হয় আর রাজা ভিজে যায়। প্রচন্ড ক্ষেপা রাজা তখন আবহাওয়া অধিদপ্তরের প্রধান কে গ্রেফতার করার নির্দেশ দেয় আর সেই মূর্খকে আবহাওয়া দপ্তরের প্রধান বানিয়ে দেয়। আর সেই থেকেই নাকি দায়িত্ব শীল পদ গুলোতে মূর্খদের বসানোর সূত্রপাত হয়েছিল। যাইহোক অপ্রাসঙ্গিক কথা না বলি। আজ যার সূত্র ধরে আমি এবং আমার পরিবারকে রাজাকার পরিবার আখ্যায়িত করেছেন তার সম্পর্কে তো আমাকে কথা বলতেই হয়।

এ.কে.এম. ফজলুল কবির চৌধুরী ছিলেন একজন রাজনীতিবিদ। যদি এক কথায় শুনতে চান তাহলে তাকে মুসলমান হিসেবে পরিচয় করিয়ে দিতেই আমি ব্যক্তিগতভাবে গর্ব করি। তবে পেশায় ছিল একজন রাজনীতিবিদ যিনি ১৯৩৮ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় হতে আইন শাস্ত্রে এম.এ. ডিগ্রি লাভ করেন। তাকে নিয়ে আমি গর্ব করি তার পদ পদবীর জন্য অথবা তার ভিআইপি স্ট্যাটাসের জন্য নয়। বরং তার ভিআইপি স্ট্যাটাস যাদের দ্বারা অর্জিত সেই ভিআইপির (পি) অর্থাৎ (পারসন) বা যদি বলি পিপল, যে জনগণের পক্ষে তার সীমাহীন ভালোবাসার জন্য। পার্লামেন্টের পুরনো বইগুলো যদি আপনারা দেখেন, তবে আপনারা অনেককিছুই জানতে পারবেন। ১৯৬২’র দিকে যখন বাংলাদেশ ছিল না, সেসময় পূর্ব-পাকিস্তানের স্বার্থ ও বাঙালীদের পক্ষে দাবী আদায়ে সংসদে বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখেছিলেন জনাব এ.কে.এম. ফজলুল কবির চৌধুরী। তিনি পশ্চিম পাকিস্তানকে প্রায় সময় চাপ প্রয়োগ করতেন এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সময় তিনি যে আওয়াজ তুলেছিলেন তাও এখানে প্রতীয়মান। আজ আপনারা দেখতে পান চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রিজ, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, চট্টগ্রাম সিটি কলেজ, চট্টগ্রাম নাইট কলেজ, চট্টগ্রাম মহিলা কলেজ এবং চট্টগ্রাম ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ যেগুলোর প্রতিটার প্রতিষ্ঠার মধ্যে তার এবং চট্টগ্রামের আরো কয়েকজন গুণী ব্যক্তিত্বের অবদান রয়েছে। যদি প্রমান চান আমি তা তুলে ধরতে পারবো। জনাব চৌধুরী একক প্রচেষ্টায় ১৯৬৩ সালে রাউজান কলেজ এবং ১৯৬২ সালে রাউজানের গহিরায় শান্তির জন্য নোবেল পুরস্কার অর্জনকারী বেলজিয়ামের ডমিনিক পীয়ের অনুদানে প্রতিষ্ঠা করেন শান্তির দ্বীপ।

ফজলুল কবির চৌধুরী, আলহাজ্ব খান বাহাদুর আবদুল জব্বার চৌধুরীর ও মাতৃকুল মধ্যযুগীয় মুসলিম মহিলা কবি রহিমুন্নেসার পৌত্রী বেগম ফাতেমা খাতুন চৌধুরীর ঔরশে জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন সাবেক পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদের বিরোধীদলীয় নেতা (আজকের দিনে যেই পদের অধিকারী আমাদের দেশের বর্তমান বিরোধী দলীয় নেত্রী বেগম রৌশান এরশাদ)। প্রাদেশিক আইন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ছিলেন এবং দু দু বার সংসদ সদস্য ছিলেন। প্রথমে রাউজান রাঙ্গুনিয়া বোয়ালখালীর (১৯৬২) আর পরবর্তীতে রাউজান হাটহাজারীর (১৯৬৫)। কোন রাজনৈতিক দলও করতেন না, বরং স্বতন্ত্রভাবে অন্যান্য স্বতন্ত্র সদস্যদের একত্রিত করে বিরোধী দলীয় নেতা নির্বাচিত হয়েছিলেন। অর্থাৎ তিনি মুসলিম লীগের কেউ ছিলেন না। যেহুতু রাজনীতির সূত্রেই আজ আমার মরহুম দাদা কে তার মৃত্যুর প্রায় অর্ধ শতাধিক বছর পর অভিযুক্ত করা হয়েছে, সেই ক্ষেত্রে তার রাজনৈতিক পরিচয় আমাকে তুলে ধরতেই হলো।

বিজয়ের মাসে বিজয় দিবসের আগ মুহুর্তে, গত ১৫ ডিসেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার দিকে রাউজান কলেজে আমি যাই যা অভিযুক্ত মরহুম এ.কে.এম ফজলুল কবির চৌধুরী প্রতিষ্ঠা করেছিল। সন্ধ্যা ৭ টার দিকে রাউজান কলেজের শহীদ মিনারে খোলা আকাশের নিচে বসে আমরা আওয়ামী পরিবার ও ছাত্রলীগের ভাইয়েরা সহ একত্রে রাউজানের মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বপূর্ণ গল্পগাঁথা শুনছিলাম। রাউজানে তাদের সেই যুদ্ধের পুরনো স্মৃতিগুলি বলতে গিয়ে মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবু জাফর সাহেব বলেন, আজকে আমাদের মাঝে যে বসে আছেন তার দাদা ফজলুল কবির চৌধুরী

ব্যাক্তিগতভাবে আমাকে ও আমার সহকর্মীদেরকে ১৯৬৫ সালে ফাতেমা জিন্নাহ’র পক্ষে আইয়ুব বিরোধী আন্দোলন করায় জেল থেকে মুক্ত করে আনেন। সেসময় থেকে জনাব ফজলুল কবির চৌধুরী আমাদেরকে মুক্তিযুদ্ধের প্রতি অনুপ্রাণিত করতে থাকেন। এবং বিভিন্নভাবে আমাদের সুযোগ-সুবিধা করে দিতেন। যখন বাড়ী ফিরছিলাম, তখন খবর এলো আমার দাদা ফজলুল কবির চৌধুরী নাকি রাজাকার ছিলেন। এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রকাশিত রাজাকারের তালিকায় আমার দাদার নাম তিনবার উল্লেখ করা হয়েছে।

যে মন্ত্রণালয় এখনো মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান দিতে শিখে নি, যে মন্ত্রণালয় মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা দেওয়ার সময় অভিযুক্ত ছিল, সেই মন্ত্রণালয়ের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন করলে নিশ্চয় আমার কবিরা গুনাহ হয়ে যাবে না। অভিযোগ যেহেতু করেছেন, এখন তার প্রতিক্রিয়া শোনার সময় এসেছে।
কল্পনা করা বা স্বপ্ন দেখা ভালো। তবে অবাস্তব কল্পনা, অবাস্তব চিন্তাভাবনা, বানোয়াট গল্প বলা ভালো নয়। মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় আমাদের বাড়ী ছিল চট্টগ্রামের পাথরঘাটায়। বাড়ির নাম ইকবাল ভিল্লা যা কিনা এই অঞ্চলের একটি ঐতিহ্যবাহী বাড়ী হিসেবে পরিচিত। কথা বলতে গেলে অনেক কিছু চলে আসবে আর লিখতে গেলে এই বাড়ীর অনেক ইতিহাস যা লিখে শেষ করা যাবে না। মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে আমার দাদা এ.কে.এম ফজলুল কবির চৌধুরী পাথরঘাটার বাড়ীতে অবস্থান করতেন।

তার ২য় পুত্রের নাম ফজলে রাব্বি চৌধুরী, আমার বাবার বড় ভাই, আমার মেঝো চাচা। মুক্তিযুদ্ধের সময় তার বয়স ২১। তাকে অনেকেই একজন সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। কারণ তিনি মুক্তিযুদ্ধের সময় বীর বাঙ্গালীদের পক্ষে অবস্থান করে নিরীহ বাঙ্গালীদের রক্ষা ও পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীকে প্রতিহত করার জন্য ভূমিকা রেখেছিলেন। নালাপাড়ার হাজী আবদুর রহিমকে চিনেন কেউ ? চিনে থাকলে নিশ্চই জানবেন যে মেঝো চাচা ১৯৭১ সালের মার্চের শেষ দিকে গান পাউডার নিয়ে টেরীবাজার মিঠা গলিতে গিয়েছিলেন। এবং পরে সেই গান পাউডার ফিরিঙ্গি বাজারের মনাকে দিয়েছিলেন। সেই মনা কিন্তু একজন মুক্তিযোদ্ধা। বঙ্গবন্ধুর ঘোষিত ৬ দফার ৬ তারা বিশিষ্ট পতাকা ও টুপি ব্যবহার করতেন বলে বর্তমান কাজির দেওরির পাশে অবস্থিত নেভাল একাডেমীর ছাদ হতে আমার দাদার সেই ল্যান্ডক্রুসার গাড়ীটিকে (গাড়ী নং ৮১৪৭) লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে পাকিস্তানী আর্মি। সেসময় আমার চাচার সাথে গাড়ীতে ছিলেন এ.কে. খানের জামাতা এম.আর. সিদ্দিকী।

সেই ল্যান্ড ক্রুসার গাড়ী ছিল যার গাড়ী নং ৮১৪৭ ব্যবহার করে আমার চাচা ফজলে রাব্বি চৌধুরী মুক্তিযুদ্ধের সময় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চট্টগ্রাম কলেজের শিক্ষক সহ বিভিন্ন ব্যক্তিদের তাদের নিজ বাসায় নিরাপদে নামিয়ে দিয়ে আসতেন। এই সকল ঘটনার সাক্ষী দিবেন বীর মুক্তিযোদ্ধা হাফিজ জাহান খান রুশনীর ভাই জার্মান প্রবাসী রুমু। শুনেছি যুদ্ধের সময় চাচা একদিন চট্টগ্রামের নিউ মার্কেট এলাকায় রিকসা নিয়ে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে ৪ জন নিরীহ বাঙালীকে ধরে পাকিস্তানী ৩ জন আর্মি ব্যাপক মারধর করছিল। সে সময় তিনি রিকসা থেকে নেমে পাকিস্তানী আর্মির সাথে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন এবং নিরীহ সেই বাঙালীদের উদ্ধার করেন। এর কিছুদিন পর চট্টগ্রাম শহর থেকে রাউজান যাওয়ার পথে কয়েকজন হিন্দুকে পাকিস্তানী আর্মিরা ধরে নিয়ে যেতে দেখলে জনাব ফজলে রাব্বি চৌধুরী গাড়ী থেকে নেমে সেসব হিন্দুদের রক্ষা করে নিরাপদে বাড়ীতে পৌঁছে দেন। বলি শামসুর নাম অনেকেই শুনেছেন, বিশেষ করে যারা তৎকালীন ইতিহাস সম্পর্কে অবগত আছেন। বলি শামসুও আমার চাচার সাথে গাড়ীতে থাকতেন। তার ভাই মাহবুবও গাড়ীতে থাকতেন। তারা যুদ্ধ কালীন সময় আমার চাচার ভূমিকার সাক্ষী দিবেন যদি বেঁচে থেকে থাকে। চাচার কথা বলার পিছে কারণ আছে। চট্টগ্রামের মানুষ ভালো করে জানে যে আমাদের সেদিকে একটি সংস্কৃতি আছে। বাপ বিষ খেলে ছেলেও বিষ খেতে চাই। অর্থাৎ বাপ ছাড়া ছেলে এক পা দিতে অসঙ্গতি প্রকাশ করেন।

১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বীর বাঙালীর মহান আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে স্বাধীন হয় আমাদের প্রিয় বাংলাদেশ। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সরকার আমার দাদাকে ৮ জন রাষ্ট্রীয় পুলিশ দিয়ে নিরাপত্তা প্রদান করতো। যেহেতু আমার দাদার আপন ছোট ভাইয়ের নাম ফজলুল কাদের চৌধুরী এর রেশ ধরে পরিবারের অন্য কারো যেন ক্ষতি না হয় সেজন্য সরকারের পক্ষ থেকে পরবর্তীতে বেঙ্গল লিবারেশন ফোর্স সহ বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করেন তখন কার সরকার। এই কথার প্রমান ও সাক্ষী দুটি আছে। রাষ্ট্রপতি আবু সাইদ চৌধুরীর সন্তান সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আবুল হাসান চৌধুরীকে জিজ্ঞেস করলে মুক্তিযুদ্ধের সময় জনাব এ.কে.এম. ফজলুল কবির চৌধুরীর ভূমিকা সম্পর্কে জানতে পারবেন।

মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময় এবং এর আগে থেকেই পাকিস্তান সরকারের বাঙালীদের প্রতি নিপীড়ন ও শোষণমূলক আচরণের প্রতি ইংগিত করে জনাব এ.কে.এম. ফজলুল কবির চৌধুরী বলতেন, “শুধুমাত্র বন্দুকের নল দিয়ে দেশ শাসন করা যায় না, পাকিস্তানের নিষ্ঠুরতম আচরণের জন্য একদিন কঠিন মাশুল দিতে হবে।” তিনি পাকিস্তান সরকারের অন্যায়-শোষণকে কখনো মেনে নিতে পারেন নি।বাঙ্গালীদেরকে সবসময় তিনি সহযোগিতা করতেন। সেই সময় শ্রী শ্রী বর্মন নামে একজন হিন্দু ব্যক্তিকে তিনি পাথরঘাটার বাসায় আশ্রয় দিয়েছিলেন। যিনি ভারতের তৎকালীন একটি ব্যাংকে চাকরী করতেন।

ফজলুল কবির চৌধুরী যদি রাজাকার হয়ে থাকে তবে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি, স্পিকার, মন্ত্রী, মেয়র, দলের সাধারণ সম্পাদক, সরকারী-বেসরকারি উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা, সমাজের বিভিন্ন শ্রেণী পেশার গুণী ব্যক্তিত্বরা, যারা কিনা অনেকে নিজেরাই মুক্তিযোদ্ধা, তারা কি রাজাকারের কবর জিয়ারত করে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করে আসছেন এতদিন ? ফজলুল কবির চৌধুরী যদি রাজাকার হয়ে থাকে তবে কি একজন রাজাকারকে জাতির পিতার সরকার নিরাপত্তা দেয়ার ব্যবস্থা করেছিল ? তিনি যদি রাজাকার হয়ে থাকেন তবে কি একজন রাজাকারের লাশ জাতির পিতার নির্দেশে সেসময় সরকারের বিশেষ বিমান করে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম আনা হয়েছিল ?

তবে কি মন্ত্রণালয়ের গেজেটেড ভাতা প্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা রাজাকার ছিল কারণ তার মেয়ে অন্য রাজনৈতিক দল করে বলে? তবে কি যেই ট্রাইবুনাল দ্বারা যুদ্ধ অপরাধের বিচার করলেন, সেই ট্রাইবুনালের কৌঁসুলি রাজাকার ছিল ? তবে কি বঙ্গবন্ধুর সাথে একই মঞ্চে থাকা আওয়ামী লীগ নেতা, মুক্তিযুদ্ধ সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি মুজিবুল হক ও রাজাকার ছিল ? তবে কি বঙ্গবন্ধুর ভগ্নিপতি আব্দুর রব সেরনিয়াবাতের বড় ভাই ও রাজাকার ছিল ? উত্তর দিবেন কি মাননীয় মন্ত্রী ?

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *