চট্টগ্রামে টোল রোডে আতঙ্ক

চট্টগ্রামে টোল রোডে আতঙ্ক ক্রমশ বাড়ছে। ফৌজদারহাট—বন্দর হয়ে মিশেছে পতেঙ্গার চট্টগ্রাম আউটার রিং রোডের সঙ্গে। সিএমপির ৫ থানার টহল চলে এই টোল রোড, বন্দর ও পতেঙ্গাকে ঘিরে। অভিযোগ রয়েছে, সন্ধ্যার পর থেকে পতেঙ্গা ও কাট্টলী বীচে আগত পর্যটকদেরকেও আতঙ্কে বাড়ী ফিরতে হয়। পুলিশের একাধিক টিম টহলে থাকলেও অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা পুলিশকে পাহারা দিয়েই সন্ত্রাসী কার্যক্রম ঘটাচ্ছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। সন্ধ্যা হলেই অনিরাপদ হয়ে উঠে পুরো সড়ক। কারন এই সড়কের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারছে না পুলিশ।

অভিযোগ রয়েছে, বছর চারেক আগে উত্তর কাট্টলীস্থ টোল রোড এলাকায় পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে এক ডাকাত নিহতের ঘটনার পর থেকে ৫ থানা পুলিশ তৎপর রয়েছে।

ভিন্ন ভিন্ন অংশে পুলিশের টহল অব্যাহত থাকায় সন্ত্রাসী ও ছিনতাইকারী পুলিশকে পাহারা দিচ্ছে। ঘটনার আগে ও পরে পুলিশের উপস্থিতের বিষয়টি মাথায় রেখেই সন্ত্রাসীরা ছিনতাই করে যাচ্ছে। বিশেষ করে মোটর সাইকেলে থাকাদের টার্গেট করলেও বিদেশগামীদের গাড়ীও ঠেকাচ্ছে।

আরো অভিযোগ রয়েছে, ফেনী, মীরসরাই, সীতাকুন্ড, কুমিরা, ভাটিয়ারী ও ফৌজদারহাট এলাকার প্রবাসী বা বিদেশগামীরা বিশেষ করে ফৌজদারহাট—বন্দর টোল রোড ব্যবহারে আতঙ্কগ্রস্থ।

গত ৪ বছর ধরে চট্টগ্রাম আউটার রিং রোড চালু হওয়ার পর থেকে বন্দর টোল রোড ব্যবহারকারীদের মাত্রা আরো বেড়েছে।

বিভিন্ন সময়ে এই সড়কে আগতরা ডাকাত ও সন্ত্রাসীদের কবলে পড়ে সর্বস্ব হারানোর ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় থানা নিধার্রন করতে না পেরে বেশিরভাগ ক্ষতিগ্রস্থরাই আইনের সাহায্য নিতে পারছেনা।

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ফৌজদারহাট চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের আওতায়, দক্ষিন কাট্টলী আকবরশাহ থানার আওতায়, উত্তর কাট্টলী পাহাড়তলী থানা পুলিশের আওতায়,

একটি অংশ হালিশহর থানা, ঈশানমিস্ত্রীর হাট প্রকাশ ইয়াছিন্নার হাট এলাকা বন্দর থানা এলাকায় এবং জাহাজ বিল্ডিং টু পতেঙ্গা এলাকা পতেঙ্গা থানার আওতায়।

পাহাড়তলী থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, উত্তর কাট্টলীস্থ বেড়িবাঁধ সংলগ্ন পুরাতন টোল রোডের পশ্চিম পার্শ্বে রয়েছে নেজামত আলীর পুকুর।

এই পুকুরকে ঘিরে বিভিন্ন সময়ে ছিনতাই কারীরা ওঁৎ পেতে থাকে। পুকুরের অন্ধকারাচ্ছন্ন এলাকায় সন্ত্রাসী কার্যক্রমের উদ্দেশ্যে থাকা অপরাধীদের পাকড়াও করতে বিভিন্ন সময়ে অভিযান পরিচালনা করে পাহাড়তলী থানা পুলিশ।

এ ব্যাপারে পাহাড়তলী থানার এক এসআই জানিয়েছেন, প্রতিনিয়ত ঐ সড়কে টহল দিচ্ছে পাহাড়তলী থানা পুলিশ। টোল রোড এলাকার উত্তর কাট্টলী অংশই শুধু পাহাড়তলী থানা পুলিশের।

আরো ৪টি অংশ বিভিন্ন থানা পুলিশের। সেখানে পুলিশের নজরদারি যেমন রয়েছে তেমনি অপরাধীরাও পুলিশকে পাহারা দিচ্ছে।

২৪ঘণ্টা/জেআর

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *