মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় যে তালিকা প্রকাশ করেছে তা রাজাকার, আলবদর, আলশামসের তালিকা নয় বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
বুধবার সচিবালয়ে নিজের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এটি কোনো রাজাকারের তালিকা নয়। মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়কে রাজাকার, আলবদর, আল শামসের তালিকা দেয়া হয়নি; দালাল আইনে অভিযুক্তদের তালিকা দেয়া হয়েছে। নোট দেয়া সত্ত্বেও মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয় সবার নাম প্রকাশ করেছে। সুতরাং এর পুরো দায় ওই মন্ত্রণালয়ের।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এটি হচ্ছে ১৯৭২ থেকে ১৯৭৩ সালের দালাল আইনে যাদের নামে মামলা হয়েছে তাদের নামের তালিকা। অনেকে শত্রুতা বসতও অনেকের বিরুদ্ধে মামলা করেছিল। সেই নামগুলোও এই তালিকায় আছে। এর মধ্যে ৯৯৬ জনকে বিভিন্ন অভিযোগ থেকে খালাসও দেওয়া হয়। আমরা খালাসপ্রাপ্তদের নামের ওই তালিকাটিও নোট হিসেবে যুক্ত করে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়কে পাঠিয়েছিলাম।’
এমন একটি ঘটনায় মর্মাহত হয়েছেন বলে জানান মন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আমি অবশ্যই মানসিকভাবে আহত হয়েছি। এ ধরনের ভুল কতখানি সহনীয় তা খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিটি করা হবে।’
এই তালিকা করার মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়কে ৬০ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছিল, সেটা কোথায় খরচ হয়েছে- প্রশ্ন করা হলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি মন্তব্য করতে চাই না। কারণ তিনি একজন সিনিয়র মন্ত্রী।’
১৫ ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় ১০ হাজার ৭৮৯ জন রাজাকারের তালিকা প্রকাশ করে। তবে ওই তালিকায় গেজেটেড মুক্তিযোদ্ধাদের নামও রয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন অঞ্চলের মুক্তিযোদ্ধা আওয়ামী লীগ নেতাদের নামও রয়েছে। এমনকি খোদ আন্তর্জাতিক মানবতাবিরোধী অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর গোলাম আরিফ টিপুর নামও রাজাকারের তালিকায় আসে। তালিকাটি প্রকাশ হওয়ার পরই দেশব্যাপী তুমুল সমালোচনা শুরু হয়েছে। সবশেষ বিতর্কিত এই তালিকা স্থগিত করে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়।
Leave a Reply