ইকুয়েডরকে বিদায় করে শেষ ষোলোয় সেনেগাল

সাদিও মানেকে ছাড়া বিশ্বকাপ শুরু করাই ছিল সেনেগালের জন্য বড় ধাক্কা। আফ্রিকার যে দলটি নিয়ে সবচেয়ে বেশি আশা ছিল সেই সেনেগাল প্রথম ম্যাচে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে হেরে আসর শুরু করে। খাদের কিনারে দাঁড়িয়ে ছিল দলটি। জিততেই হবে, ড্র করলেও বিদায় এমন সমীকরণের সামনে ছিল। যে সমীকরণ অলিও সিসের দল মিলিয়ে দিয়েছে। ইকুয়েডরকে ২-১ গোলে হারিয়ে নিশ্চিত করেছে কাতার বিশ্বকাপের শেষ ষোলো।

প্রথম ম্যাচে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে দুর্দান্ত খেলেছিল সেনেগাল। কিন্তু সাদিও মানের মতো একজন ফিনিশার না থাকায় একাধিক আক্রমণ করেও গোল করতে পারেনি। দ্বিতীয় ম্যাচে স্বাগতিক কাতারের বিপক্ষে জিতে নকআউটের আশা বাঁচিয়ে রেখেছিল তারা। অন্যদিকে ল্যাতিন দল ইকুয়েডর প্রথম ম্যাচে স্বাগতিক কাতারকে পাত্তা দেয়নি। পরের ম্যাচে রুখে দেয় ডাচদের।

ম্যাচের আগেই তাই দুই দল লড়াইয়ের আভাস দেয়। শুরুতেও শারীরিক ও গতির ফুটবল শুরু করে দু’দল। লিড নেয় আফ্রিকার প্রতিনিধি সেনেগাল। তারা প্রথমার্ধে পাঁচটি আক্রমণ তুলে ৪৪ মিনিটে পেনাল্টি থেকে লিড পায়। গোল করেন ইসমাইলা সার। দ্বিতীয়ার্ধে পিছিয়ে পড়া ইকুয়েডর আক্রমণে ধার বাড়ায়। ম্যাচের ৬৬ মিনিটে পায় সুফল। কেইসেদো গোল করে দলের নকআউটের আশা বাঁচান।

কিন্তু ওই স্বস্তি ধরে রাখতে পারেনি কলম্বিয়া-চিলিতে হতাশ করে ল্যাতিন অঞ্চল থেকে কাতার বিশ্বকাপের টিকিট পাওয়া ইকুয়েডর। গোল শোধ করার তিন মিনিট পরেই (৭০ মিনিটে) আবার লিড নেয় সেনেগাল। ফ্রি কিক থেকে গোল করেন চেলসিতে খেলা সেন্ট্রাল ডিফেন্ডার ও দলটির অধিনায়ক কালিদো কাউলিবালি। জটলার মধ্যে পড়া ফ্রি কিক বিপদমুক্ত করতে পারেনি ইকুয়েডর। ফাঁকায় বল পেয়ে তারই সদ্বব্যবহার করেন তিনি। সেনেগাল ৪ ডিসেম্বর ‘বি’ গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন দলের বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনালের লড়াইয়ে নামবে। তাদের সম্ভাব্য প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ড।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *