প্রথম ম্যাচে সেনেগালের রক্ষণ দেয়াল ভাঙতে পারছিল না ফেবারিট হয়ে বিশ্বকাপে আসা নেদারল্যান্ডস। বরং সাদিও মানেবিহীন আফ্রিকার দলটি ভয় ধরাচ্ছিল রক্ষণে। ওই ম্যাচে ডাচদের ২-০ গোলের জয়ের নায়ক ছিলেন ২৩ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড কোডি গাকপো। ইকুয়েডরের বিপক্ষে ১-১ গোলে সমতার ম্যাচে ছয় মিনিটে গোল করেছিলেন তিনি।
এবার স্বাগতিক কাতারের বিপক্ষে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচেও নেদারল্যান্ডসের জয়ের নায়ক তরুণ এই উইঙ্গার। এবারও তিনি দলকে ব্রেক থ্রু এনে দেন। দলকে ২-০ গোলের জয় এনে দিতে পরে জালে বল পাঠিয়েছেন ফ্রেঙ্কি ডি জং। এই জয়ে ‘এ’ গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন হয়েছে শেষ ষোলোর পা রেখেছে রাশিয়া বিশ্বকাপে জায়াগা না পাওয়া নেদারল্যান্ডস।
ম্যাচের ২৬ মিনিটে দলের হয়ে প্রথম গোল করেন কোডি গাকপো। ডাচ লিগে খেলা এই তরুণ গ্রুপ পর্বের তিন ম্যাচেই গোল করেছেন। দলের অন্য গোলটি আসে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে। বার্সায় খেলা মিডফিল্ডার ফ্রেঙ্কি ডি জং ৪৯ মিনিটে গোল করে দলকে বড় জয়ের পথে এগিয়ে নেন। পরে স্বাগতিকদের জালে আর বল পাঠাতে পারেনি তিনবার বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলে শিরোপা জিততে না পারা নেদারল্যান্ডস।
অন্যদিকে এই হারে কাতার গড়েছে লজ্জার এক রেকর্ড। গ্রুপ পর্বে তো বিদায় হয়েছেই, বিশ্বকাপ ইতিহাসের প্রথম স্বতন্ত্র স্বাগতিক হিসেবে গ্রুপ পর্বের তিন ম্যাচেই হারের স্বাদ পেয়েছে তারা। এর আগে ২০১০ বিশ্বকাপের স্বাগতিক ছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। তারা গ্রুপ পর্ব পার হতে না পারলেও গ্রুপের সব ম্যাচে হারেনি।
Leave a Reply