সাংবাদিক শেলুর পা ভেঙে দেয়া ছাত্রলীগ নেতা রাকিব আটক

দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকার প্রতিষ্ঠালগ্নের জামালপুর সংবাদদাতা ও পল্লীকণ্ঠ প্রতিদিনের সিনিয়র সাংবাদিক এপেক্সিয়ান শেলু আকন্দকে নির্যাতনের একপর্যায়ে দু’পা ভেঙে দিয়েছে আওয়ামী লীগ নেতা পৌর কাউন্সিলর রুনু খানের ছেলে ছাত্রলীগ নেতা সন্ত্রাসী রকিব খানের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা। উক্ত ঘটনায় সন্ত্রাসী রকিব খানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

আশংকাজনক অবস্থায় শেলু আকন্দকে আজ দুপুরে জামালপুর হাসপাতাল থেকে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে রেফার্ড করেছে। জামালপুরের ইতিহাসে এমন জঘন্যতম ঘটনার নিন্দার ঝড় ওঠেছে। ফুসে ওঠেছে সাংবাদিক সমাজ।

ঘটনাটি ঘটে গতকাল বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) রাত ১১টায় শহরের দেওয়ানপাড়ায় পুরাতন এসডিওর বাড়ির পিছনে শহর বাইপাস রোডে।

পথচারী এবং স্থানীয়দের সহায়তায় উদ্ধার শেষে তাকে জামালপুর হাসপাতালে ভর্তি করে। ডাক্তাররা জানিয়েছেন বেঁচে থাকলেও সাংবাদিক শেলু আকন্দ আজীবনের জন্য একজন পঙ্গুত্ববরণ করবে।

হাসপাতালের বেডে শুয়ে আহত শেলু আকন্দ বলেন, আমি ডায়াবেটিসের রোগী। প্রতিদিন সকাল ও রাতে ব্রহ্মপুত্র নদের পাড়ে শহর বাইপাস রোডে হাটাহাটি করি। বুধবার রাতে হেঁটে যাওয়ার সময় পৌর কাউন্সিলর রুনু খানের ছেলে জেলা ছাত্রলীগ নেতা রাকিব খান, তুষার খান, স্বজন খান ও তুহিন খানসহ ১০/১২ জন আমার উপর হামলা চালায়।

ছাত্রলীগ নেতা রাকিব

তারা লোহার জিআই পাইপ দিয়ে আমার দুই পায়ে এলোপাথাড়ি পেটাতে থাকে। পেটানোর সময় তারা বলে মামলার সাক্ষী হইছস না, সাক্ষী দিবি, তর সাক্ষীর হওয়ার স্বাদ মিটাইতাছি। লোহার পাইপ দিয়ে পেটাতে পেটাতে আমার দুই পা গুড়িয়ে দিয়েছে।

এর ৬ মাস আগে পেশাগত দায়িত্বপালনকালে দৈনিক কালের কন্ঠের সাংবাদিক মোস্তফা মনজুর উপর হামলা করে বেধড়ক মারধর করেছিল কাউন্সিলর রুনু খান ও তার ছেলে রাকিব খানের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা।

ওই মামলার ২নং সাক্ষী ছিল সাংবাদিক শেলু আকন্দ। সাংবাদিকের ওপর হামলার মামলায় সাক্ষী হওয়ায় সাংবাদিক শেলু আকন্দ হামলার শিকার হয়েছেন।

জামালপুর সদর থানার ওসি মো. সালেমুজ্জামান জানিয়েছে সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনায় রুনু খানের ছেলে সাকিব খানকে রাতেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তার অভিযান চলছে।

জামালপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি হাফিজ রায়হান সাদা ও সাধারন সম্পাদক লুৎফর রহমান সাংবাদিক শেলু আকন্দের উপর হামলার নির্দেশদাতা পৌর কাউন্সিলর রুনু খান ও হামলাকারী রকিব খানসহ হামলায় জড়িত সন্ত্রাসীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় প্রশাসনের প্রতি।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *