ফটিকছড়ি প্রতিনিধি:সুন্দর ও শুভ্রতার নির্মল প্রতীক ফুল হাতে নিয়ে ভক্ত-জনতা নিজেরাই হাদিয়া হিসেবে বিশ্বঅলি শাহানশাহ্ হযরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারীর (ক.) ৯৪তম খোশরোজ শরিফে অংশগ্রহণ করে এক বিরল নজির সৃষ্টি করেছে।
রোববার (২৫ ডিসেম্বর) মাইজভান্ডার দরবার শরিফে বিশ্বঅলি শাহানশাহ্ হযরত সৈয়দ জিয়াউল হক
মাইজভান্ডারী (ক.) খোশরোজ শরিফ যথাযোগ্য মর্যাদায় মাইজভান্ডার শরিফ গাউসিয়া হক মন্জিলে অনুষ্ঠিত হয়। মাইজভান্ডারী গাউসিয়া হক কমিটি বাংলাদেশের দেশ-বিদেশের শাখা কমিটিসমূহের সদস্যবৃন্দ বিশাল বিশাল র্যালি নিয়ে খোশরোজ শরিফে অংশগ্রহণ করেন।
খোশরোজ শরিফ উপলক্ষে অনুষ্ঠানের মধ্যে শাহানশাহ সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভান্ডারীর মাযার শরিফসহ
গাউসুল আযম মাইজভান্ডারী, গাউসুল আযম বিল বিরাসত বাবাভান্ডারী ও হযরত সৈয়দ দেলাওর হোসাইন মাইজভান্ডারীর মাযার শরিফ জিয়ারত, নফল নামায, কোরআন তেলাওয়াত, জিকির আজকার ও দরূদ পাঠের পর অশ্রুসিক্ত নয়নে আল্লাহ্ রাব্বুল আলামিনের দরবারে নিজেদের ফরিয়াদ পেশ করেন।
রবিবার বাদ ফযর মাযারে গিলাফ চড়ানো, স্থানীয় ও জাতীয় দৈনিকে বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ, হুজুরের জীবনী নিয়ে লেখা জনপ্রিয় পত্রিকায় প্রবন্ধ প্রকাশ, বাংলাদেশ টেলিভিশন চট্টগ্রাম কেন্দ্রে বিশেষ আলোচনা অনুষ্ঠান, খতমে কোরান, খতমে গাউসিয়া শরিফ, খতমে খাজেগান, মিলাদ ও মোনাজাতে প্রয়াত আশেক-ভক্তদের রূহের মাগফিরাতসহ সকলের সার্বিক কল্যাণ কামনা করা হয় এবং সারাদিন ব্যাপী ক্যাম্পে ক্যাম্পে জিকির-আজকার ও মাইজভান্ডারী কালাম পরিবেশনের পর রাত ১২টায় সাজ্জাদানশীন রাহবারে আলম হযরত সৈয়দ মোহাম্মদ হাসান মাইজভান্ডারী আখেরী মুনাজাত করেন।
মাহফিলে ‘তাসাওউফভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠায় মাইজভান্ডারীয়া ত্বরিকা’, ‘কোরআন সুন্নাহর আলোকে গাউসুল আযম হযরত মাওলানা শাহসুফি সৈয়দ আহমদ উল্লাহ্ মাইজভাণ্ডারী (ক.)’, ‘বেলায়তে মোত্লাকার আলোকে সপ্ত কর্মপদ্ধতি ও শাহানশাহ্ হযরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভান্ডারী (ক.)’, ‘মানব দরদী শাহানশাহ্ হযরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভান্ডারী’ এবং ‘শাহানশাহ্ জিয়াউল হক মাইজভান্ডারীর জীবনী আলোচনা’য় অংশগ্রহণ করেন- দেশ বরেণ্য আলেম ওলামা শিক্ষক চিকিৎসক সাংবাদিক বুদ্ধিজিবীগণ।
এতে সাজ্জাদানশীন সৈয়দ মোহাম্মদ হাসান মাইজভান্ডারী বলেন, শাহানশাহ মাইজভান্ডারী জাগতিক ও আধ্যাত্মিক সাধনা পরিচর্যার একজন সুমহান পথপ্রদর্শক। তার প্রদর্শিত পথ অনুস্মরণেই অনন্ত যাত্রার সুখ শান্তি ও সমৃদ্ধির পথ। ওই পথেই ব্যক্তি, পারিবারিক ও সামাজিক জীবনাচরণে নিরহংকার, নিঃস্বার্থ, লোভ ও প্রতিহিংসা পরায়ণতা এবং মানবিক মূল্যবোধ জাগ্রত রাখার নিরন্তর সাধনা। আশ্রাফুল মাখ্লুকাত’ হিসেবে নিজেদের যথাযোগ্য মর্যাদায় গড়ে তুলতে হলে ‘মা’ জাতির প্রতি যথার্থ সম্মান প্রদর্শন সহ ব্যক্তি, পারিবারিক ও সামাজিক জীবনাচরণে অহংকার, স্বার্থ, লোভ ও প্রতিহিংসার উর্ধ্বে উঠে মানবিক মূল্যবোধ জাগ্রত রাখার চেষ্টাই হবে নিরন্তর সাধনা এবং সততা, নীতি নৈতিকতা ও সর্বক্ষেত্রে শুদ্ধ জীবন যাপনই হবে স্রষ্টা পথের পাথেয়। পরে তিনি দেশে এবং বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠা ও সকল মানুষের সার্বিক কল্যাণ কামনায় আল্লাহর দরবারে ফরিয়াদ করেন।
Leave a Reply