গাইবান্ধার মেয়ে চট্টগ্রামে উদ্ধার

গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ি এলাকার ১০ম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক ছাত্রীকে দীর্ঘ ৭ মাস পর উদ্ধার করেছে চট্টগ্রামে র‌্যাব সেভেনের একটি টিম। গত মে মাসে কোচিং থেকে বাড়ি ফেরার সময় মেয়েটিকে অপহরণ করা হয়। প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় এ ঘটনা ঘটিয়েছে অপহরণকারী। আটকের পর র‌্যাব সেভেনের অভিযান টিমের কাছে স্বীকার করেছে অপরাধী শাকিল মিয়া।

জানা গেছে, স্কুল পড়ুয়া মেয়েটি তার মা বাবার সাথে গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ি এলাকায় বসবাস করত। গত ২৮মে ১০ম শ্রেণি পড়ুয়া এ মেয়েটি পলাশবাড়ি এলাকার একটি কোচিং সেন্টারে পড়তে যায়। প্রায়শ: স্কুলে এবং কোচিংয়ে আসা যাওয়ার সময় আসামী মো. শাকিল মিয়া(২২) বিভিন্ন সময়ে মেয়েটিকে উত্যক্ত করত এবং আপত্তিজনক কথাবার্তা বলতো। বিভিন্ন সময়ে প্রেমের প্রস্তাবও দিয়ে বিরক্ত করেছে শাকিল। বিষয়টি মেয়েটি তার মা বাবাকে অবহিত করে। মেয়েটির বাবা এ বিষয়ে শাকিলের বাবাকেও অভিযোগ করেছে। এতে শাকিল ক্ষিপ্ত হয়ে ভিকটিমকে অপহরণ করার পরিকল্পনা করে। গত ২৮ মে বিকাল অনুমান সাড়ে ৫টার দিকে মেয়েটি কোচিং শেষে বাড়িতে ফেরার পথে গতিরোধ করে শাকিল। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী শাকিল ও অজ্ঞাতনামা ২/৩ জন মিলে মেয়েটিকে জোর পূর্বক একটি সিএনজি টেক্সিতে তোলে। দ্রুত গতিতে পরে অজ্ঞাতস্থানে নিয়ে যায় শাকিল ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা।

এ ঘটনায় মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে ৫ জনকে আসামী করে গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ি থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। (নং-০৫, তারিখ-৩/০৬/২০২২) মামলাটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ২০০০ (সংশোধনী-২০০৩) এর ৭/৩০ ধারা অনুযায়ী রেকর্ড করা হয়েছে।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব সেভেনের একটি টিম অপহরণ চক্রের মূলহোতা মো. শাকিল মিয়া(২২) এর অবস্থান নিশ্চিত করতে পারে। সে অনুযায়ী পতেঙ্গা থানাধীন কর্ণফুলী ইপিজেড এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। তথ্য প্রযুক্তির তথ্যের ভিত্তিতেই গত ২৬ ডিসেম্বর বিকাল সোয়া তিনটার দিকে অভিযান পরিচালনা করে। এসময় অপহরণ চক্রের মূলহোতা গাইবান্ধার গোবিন্দ গঞ্জ এলাকার মজিদুল মিয়ার ছেলে মো. শাকিল মিয়া(২২)কে আটক করে। আটকের পর র‌্যাব সেভেনের পতেঙ্গাস্থ সদর দফতরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে র‌্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে সে ও তার সঙ্গীয়রা অপহরণে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।

২৪ঘণ্টা/জেআর

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *