ময়লা আবর্জনায় পতেঙ্গা সৈকত

চট্টগ্রামে সিটি আউটার রিং রোডের নেপথ্যে ছিল সমূদ্র সৈকত নগরীর পতেঙ্গাকে বিশ্বমানের পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে তৈরী করা। এ পর্যটন কেন্দ্র তৈরী করতে গিয়ে নগরীর সমূদ্র উপকূলীয় এলাকা রক্ষায় প্রায় ৩০ ফুট উচ্চতা সম্পন্ন রিং রোড বা আউটার সাকুর্লার রোড তৈরী করা হয়েছে। প্রায় ৮৪ ফুট প্রশস্থ এই সড়কের মাধ্যমে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক থেকে বঙ্গবন্ধু টানেলের মাধ্যমে কক্সবাজার যাবে পর্যটকরা।

কিন্তু হোঁচট খেল পাঁচ কিলোমিটার ব্যাপী বিশ্বমানের এই পর্যটন কেন্দ্র। চট্টগ্রাম উন্নয়ন কতৃর্পক্ষের(চউক) পরিচালনায় থাকার কথা থাকলেও কাজবন্ধ করে দিয়েছে কতৃর্পক্ষ। ২০১৯ সালের মধ্যে এই প্রকল্পের আওতায় প্রায় ২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা ব্যয়ে উন্নয়ন কর্মযজ্ঞ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও শেষ হয়নি আদৌ। তবে পতেঙ্গা থেকে ফৌজদারহাট পর্যন্ত প্রায় ১৭ কিলিামিটার চিটাগাং আউটার রিং রোড প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ চলছে। বাদ পড়েছে বাকি সব উন্নয়ন। ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারীতে পতেঙ্গার কিছু অংশ নান্দনিক রূপ দেওয়া হলেও এখন তা ঝোপ জঙ্গলে পরিণত হয়েছে। উল্লে্যখ, এই প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে ২০১১ সালে।
এ ব্যাপারে চউক চেয়ারম্যান জহিরুল আলম দোভাষ বলেন, নিমার্ণ কাজ এখনো শেষ হয়নি। তা শেষ হলেই পরিষ্কার হবে। ঠিকাদারের কাজ শেষ হলেই ময়লা আবর্জনা পরিষ্কারের জন্য সিটি কপোর্রেশনকে দায়িত্ব দেওয়া হবে। প্রকল্পের জায়গা দেওয়ায় টানেলকে হাজার গাড়ীর পার্কিং এখন হচ্ছে না। ফাইভ স্টার হোটেল ও সৌন্দয্য বর্ধন কাজ আন্তঃ মন্ত্রনালয়ের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হবে।

আরো অভিযোগ রয়েছে, জোন-১ এর সৌন্দর্যবর্ধন কাজের আওতায় সমুদ্র তীর সংলগ্ন ৫ কিমি দীর্ঘ ওয়াক ওয়ে, বয়স্ক ও শিশুদের জন্য বিনোদন কেন্দ্র এবং কিড্স জোন, বিভিন্ন ধরণের মেকানিক্যাল ও নন-মেকানিক্যাল রাইড এর ব্যবস্থা করার পরিকল্পনা থাকলেও তা থেমে গেছে পতেঙ্গায়। এছাড়া সবুজায়নের উদ্দেশ্যে সুসজ্জিত বাগান এবং সমুদ্র সৈকতের পাঁচ কিলোমিটার এলাকার সৌন্দর্য উপভোগের জন্য ক্যাবল কার এর সংস্থান যেন স্বপ্নেই রয়ে গেল চট্টগ্রামবাসীর কাছে। সমুদ্রের বালিয়াড়ীতে নামার জন্য সিঁড়ি এবং বোটিং এর জন্য জেটির সংস্থান থাকার কথা থাকলেও তা বাস্তবতা পাবেনা।

এছাড়া রাত্রিকালে পতেঙ্গf সমূদ্র সৈকতের সৌন্দর্য উপভোগের জন্য লাইটিং এর মাধ্যমে কিছু অংশ পযার্প্ত আলোকসজ্জ্বার ব্যবস্থা করা হয়েছে ঠিকই কিন্তু আসনগুলোর আশ পাশ ঝোপ জঙ্গলে ভরে গেছে। প্রকল্প এলাকায় ১০০০ গাড়ি পার্কিং করার কথা থাকলেও তা আর হচ্ছে না। জোন-২ অঞ্চলে বিশদ পরিসরে সৌন্দর্যবর্ধন, হোটেল-মোটেল, আধুনিক মান সম্পন্ন প্লাজা, সুসজ্জিত বাগান এবং টয়ট্রেন থাকার কথা থাকলেও তা চলে যাচ্ছে হিমঘরে। কারন আবারো ভ্যানগাড়ী আর টুকরী নিয়ে বিভিন্ন পসরা সাজিয়েছে ব্যবসায়ীরা। সর্বোপরি দুইটি জোনে লক্ষ লক্ষ পর্যটকের জন্য পযার্প্ত সুযোগ সুবিধাদি সৃষ্টি করার লক্ষ্য থেকে সরে গেছে চউক। আড়াই হাজার কোটি টাকা ব্যয়ের এই প্রকল্পের কাজ আদৌ শেষ হবে কিনা তা প্রশ্নবিদ্ধ।

২৪ঘণ্টা.জেআর

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *