চট্টগ্রামের রাউজানে শরীরের দগ্ধ হওয়ার সীমাহীন যন্ত্রণা সয়ে টানা পাঁচদিন যমে-মানুষে টানাটানি শেষে মৃত্যুর কাছে হার মানলেন হ্যাপী আকতার নামের এক গৃহবধূ। তবে অগ্নিদগ্ধের বিষয়টিকে রহস্যজনক বলছেন অনেকে। গত বুধবার বিকেলে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটে চিকিৎসাধিন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। নিহত ওই গৃহবধূ উপজেলার উরকির ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মইশকরম এলাকার হানিফ শেঠের বাড়ির মো. রাসেলের স্ত্রী। তাদের দাম্পত্য জীবনে মুনতাহা নামের দুই বছর বয়সী কন্যা সন্তান রয়েছে। নিহতের দেবর রনি বলেন, রান্নাঘরের চুলার পরিধান করা শাড়ীতে আগুন লেগে দগ্ধ হন তার ভাবী। পরে তাকে চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটে ভর্তি করা হয়। সেখানেই অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন তিনি।
জানা যায়, ৫দিন আগে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় তাকে চমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে পারিবারিক কলহ চলে আসছিল। তবে বিষয়টি অস্বীকার করেছে নিহতের স্বামীর পরিবার।
স্থানীয় ইউপি সদস্য সাজ্জাদ শাহা বলেছেন, ওই গৃহবধূ মানসিক ভারসাম্যহীন হওয়ায় নিজেই গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দগ্ধ হন।
রাউজান থানার সেকেন্ড অফিসার অজয় দেব শীল বলেন, এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যুর খবর পেয়ে রাউজান থানার ওসির নির্দেশে ঘটনাস্থলে পুলিশের একটি টিম গেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নোয়াপাড়া পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ উপ পরিদর্শক জয়নাল আবেদীন বলেন, রান্নাঘরের চুলা থেকে গায়ে আগুন লেগে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। গৃহবধূ হ্যাপী আকতার মানসিক ভারসাম্যহীন ছিল বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
২৪ঘণ্টা.জেআর
Leave a Reply