মিরসরাই (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি:::মিরসরাইয়ের জোরারগঞ্জে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে মিরসরাই উপজেলা ছাত্রলীগ ও যুবলীগের ১১ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে ৩ জনের অবস্থা সংকটাপন্ন।
রবিবার (১ জানুয়ারী) সকাল ৫টার দিকে উপজেলার জোরারগঞ্জ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠের প্রবেশ মুখে বিজয় মেলাকে কেন্দ্র করে এই হামলার ঘটনা ঘটে।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, গত ২২ ডিসেম্বর থেকে জোরারগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ১০ দিনব্যাপী মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা শুরু হয়ে ৩১ ডিসেম্বর শেষ হয়। মেলা শেষে বিভিন্ন বিষয়কে কেন্দ্র করে যুবলীগ নেতা মাইননুদ্দিন টিটু ও জোরারগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান রেজাউল করিম এর অনুসারীদের মধ্যে হামলার ঘটনা ঘটে। হামলার ঘটনায় রেজাউল করিম চেয়াম্যানের অনুসারীদের মধ্যে ৮ জন ও যুবলীগ নেতা মাইনুদ্দিন টিটুর ৩জন সহ সরকারদলিয় ১১ নেতাকর্মী আহত হয়।
হামলায় আহতরা হলেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি কাউছার আহমেদ আরিফ, উত্তর জেলা ছাত্রলীগের উপ-মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক আমজাদ হোসেন ইমন, ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি সাহেদ বীন কামাল অনিক, সাধারণ সম্পাদ সেফায়েত হোসেন, যুবলীগ নেতা রিয়াজ উদ্দিন, তারেক, ছাত্রলীগ নেতা ইমতিয়াজ, আব্দুর রহমান, শাকিব, রিফাত, রাহুল বড়ুয়া, সরোয়ার হাসান । এছাড়া যুবলীগ নেতা মাইনুদ্দিন টিটুর অনুসারীদের আহত ৩জনের নাম পাওয়া যায়নি।
জোরারগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মানারাত চৌধুরী বাবু জানান, মেলা পরিচালনা কমিটিতে স্থান না পওয়া সহ বিভিন্ন কারনে মেলা চলাকালিন সময় টিটু গ্রুপের লোকজন ঝামেলা করতে চেয়েছিল কিন্তু সফল হয়নি। মেলা শেষে সেই ক্ষোভ থেকে তারা আমাদের নেতাকর্মী ও মেলা পরিচালনার কমিটির লোকজনের উপর হামলা করে। তাদের হামলা সম্পর্কে আমরা আগথেকে অবগত না থাকায় আমাদের বেশ কয়েকজন কর্মী আহত হয়েছেন এছাড়া গুলি বিদ্ধ হয়েছেন আরিফ, ইমতিয়াজ, তারেক, রিফাত , সাকিব ও সরোয়ার হাসান। এছাড়া ধারালো অস্ত্রের আঘাতে রাহুলের বুকের পাজর ভেঙ্গে গেছে, অনিকের পায়ের গোড়ালি ও হাত ভেঙ্গে গেছে। আহতেদের মধ্যে অনিক, আরিফ ও রাহুল বড়ুয়া আশঙ্কা জনক আবসথায় আছে চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধিন আছেন।
যুবলীগ নেতা মাইনুদ্দিন টিটুর ব্যাক্তিগত ফোন নাম্বারে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
স্থানীয় জোরারগঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও বিজয় মেলা উদযাপন পরিষদের প্রধান সমন্বয়কারী রেজাউল করিম মাস্টার বলেন, আধিপত্য বিস্তার করার জন্যই অতর্কীত হামলা করেছে সন্ত্রাসীবাহীনী টিটুর লোকজন। আহতদের দ্রুত চিকিৎসা শেষে আইনি ব্যাবস্থা নেয়া হবে।
এই বিষয়ে জোরারগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ জাহিদ হোসেন বলেন, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই গ্রেুপের মধ্যে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে টিটু গ্রুপের ৩জন ও চেয়ারম্যান গ্রুপের ৮জন সহ ১১জন আহত হয়েছে। খবর পেয়ে জোরাগন্জ থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনা স্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। তবে কোন পক্ষই এখনো থানায় লিখিত অভিযোগ করেনাই। লিখিত অভিযোগ পেলে ঘটনা তদন্ত পূর্বক প্রকৃত অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহণ করাহবে।
Leave a Reply