আজকের শিশুদের আন্তরিকভাবে গড়ে তুলতে পারলেই ২০৪১সালে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়া সম্ভব:মেয়র

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, জানুয়ারি’র প্রথম দিনে শিক্ষার্থীদের মাঝে বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণের মাধ্যমে বিশ্বে বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার।

তিনি বলেন, এই উদ্যোগ স্কুল থেকে ঝড়ে পড়ার হার কমিয়েছে এবং প্রাথমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়িয়েছে। মেয়র বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণের উদ্যোগকে শিক্ষা ক্ষেত্রে একটি মাইল ফলক হিসাবে বর্ণনা করেন। কারণ এই উদ্যোগ শিক্ষার্থীদের পড়াশুনা চালিয়ে যেতে উৎসাহিত করেছে।

তিনি বলেন, এই উদ্যোগের মূল উদ্যেশ্য হচ্ছে ছেলে-মেয়েদের শিক্ষা-দীক্ষায় ও জ্ঞান-বিজ্ঞানে স্বনির্ভর করা।

মেয়র বলেন, ছাত্র-ছাত্রীদের ভালো ফলাফল করা এবং প্রতিভা বিকাশে স্কুলের শিক্ষকদের একা দায়িত্ব পালন করা সম্ভব নয়, অভিভাবক মহলেরও দায়িত্ব পালন করতে হবে। তিনি সন্তানদের নিয়মিত স্কুলে আসা-যাওয়া ও পড়ালেখার বিষয়টি খেয়াল রাখার জন্য অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান জানান।

আজ রবিবার সকালে সারাদেশে পাঠ্যপুস্তক উৎসবের অংশ হিসেবে সিটি কর্পোরেশনে মিউনিসিপ্যাল মডেল হাই স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে সিটি কর্পোরেশন পরিচালিত স্কুল সমূহের ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে নতুন বই বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

শিক্ষা ষ্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি কাউন্সিলর ড.নিছার উদ্দিন আহমেদ মঞ্জুর সভাপতিত্বে এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা লুৎফুন নাহার। আরো বক্তব্য রাখেন কাউন্সিলর জহর লাল হাজারী, আবদুস ছালাম মাসুম, হাসান মুরাদ বিপ্লব, নাজমুল হক ডিউক, আবদুল মান্নান, সংরক্ষিত কাউন্সিলর রুমকি সেন গুপ্ত, সচিব খালেদ মাহমুদ, শিক্ষা কর্মকর্তা উজালা রাণী চাকমা, প্রধান শিক্ষক চম্পা মজুমদার।

মেয়র আরো বলেন, আমাদের সময় শিক্ষার্থীরা পুরোনো বই পড়ে লেখা পড়া করেছে আর তোমরা বছরের প্রথম দিনেই নতুন বই পেয়েছ। এ ধরনের উদ্যোগ সত্যিই দুর্লভ ও কঠিন কাজ। বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিকতা ও সদিচ্ছার কারণে এ ধরনের একটি দূরুহ কাজ সম্ভব হয়েছে।

তিনি বলেন, করোনা মহামারী এবং ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে সরকার জনগণের অর্থ সাশ্রয়ে জন্য অনেকদিন থেকে কঠোরতা আরোপ করলেও শিশুদের জন্য পাঠ্যপুস্তকের বই ছাপানো ক্ষেত্রে আপোষ করেননি। করোনাকালীন সময়ে শিক্ষার্থীদের পড়াশুনা অব্যাহত রাখতে সরকারের নানা উদ্যোগের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, করোনা সময় থেকে আমার ঘরে আমার স্কুল অর্থাৎ এখন ডিজিটাল বাংলাদেশ, কাজেই ঘরে বসে পড়াপশুনা। কেউ যাতে লেখা পড়ায় ফাঁকি দিতে না পারে সেই ব্যবস্থাই নেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, শিশুদের আন্তরিকতার সঙ্গে গড়ে তুলতে পারলে বিশ্বের কোন শক্তি দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি ঠেকাতে পারবে না। ২০৪১ সালের বাংলাদেশ হবে স্মাট বাংলাদেশ।

উল্লেখ্য চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন পরিচালিত স্কুলসমূহের চতুর্থ থেকে নবম শ্রেনী পর্যন্ত ৫৫টি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে বিনা মূল্যের এই বই বিতরণ করা হয়। শিক্ষার্থীরা পাঠ্যপুস্তক উৎসবে আনন্দচিত্তে বিভিন্ন রঙের ফেস্টুন, বেলুন ও স্কুল ড্রেস পড়ে অংশ নিয়েছে।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *