লো স্কোরিং ম্যাচে শেষ ওভারে খুলনাকে হারালো ঢাকা

লক্ষ্য মাত্র ১১৪ রানের। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে যেটাকে মামুলি লক্ষ্যই বলা যায়। তবে খুলনা টাইগার্সের ছুড়ে দেওয়া এই লক্ষ্য তাড়া করতেও ঢাকা ডমিনেটর্সের খেলা লাগলো শেষ ওভার পর্যন্ত। ৬ উইকেট আর ৫ বল হাতে রেখে জিতলো নাসির হোসেনের দল।

রান তাড়ায় নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় ঢাকা। আহমেদ শেহজাদ হাতে আঘাত পেয়ে মাঠ ছাড়েন ৪ করে। সৌম্য সরকারও ১৩ বলে ১৬ রানের বেশি করতে পারেননি। ২৮ বলে ২২ করে আউট হন দিলশান মুনাবিরা, মোহাম্মদ মিঠুন করেন ১৪ বলে ৮।

তবে লক্ষ্য ছোট ছিল। এরপর নাসির হোসেন আর উসমান গনি ধরে খেলে দলকে ১০০ পর্যন্ত নিয়ে যান। তাদের ৩৩ বলে ৩৪ রানের জুটিটি ভাঙে উসমান (১৫ বলে ১৪) মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের বলে বাউন্ডারিতে ক্যাচ দিলে।

তবে নাসির দায়িত্ব নিয়ে ম্যাচ শেষ করেই মাঠ ছেড়েছেন। ৩৬ বলে ৪ বাউন্ডারিতে ৩৬ রানে অপরাজিত থাকেন ঢাকা ডমিনেটর্স অধিনায়ক।

এর আগে তামিম ইকবাল, শারজিল খান, আজম খান, সাব্বির রহমানদের মতো হার্ডহিটারদের নিয়ে গড়া খুলনা টাইগার্স ৮ উইকেট হারিয়ে তুলতে পারলো মাত্র ১১৩ রান।

মিরপুর শেরে বাংলায় টস জিতে খুলনাকে প্রথমে ব্যাটিংয়ে পাঠান ঢাকা অধিনায়ক নাসির হোসেন। শুরু থেকেই ধুঁকতে থাকে খুলনা। পাওয়ার প্লের মধ্যে ২৮ রান তুলতে হারায় ৩ উইকেট। শারজিল খান (৭), মুনিম শাহরিয়ার (৪), তামিম ইকবাল (৮)-টপঅর্ডারের তিন ব্যাটারই সাজঘরে ফেরেন দুই অংক ছোঁয়ার আগে।

আজম খান শুরুটা করেছিলেন মারকুটে। তবে ১২ বলে ১৮ করে থামতে হয়েছে তাকেও। অধিনায়ক ইয়াসির আলি ধরে খেলে ২৫ বলে ১টি করে চার-ছক্কায় করেন ২৪ রান।

মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের ইনিংস ছিল আরও ধীরগতির। ২৮ বল খেলে এই অলরাউন্ডার করেন ১৯ রান। শেষদিকে সাব্বির রহমান ১১ বলে অপরাজিত ১১ (কোনো বাউন্ডারি ছাড়া) আর ওয়াহাব রিয়াজ ৩ বলে একটি করে চার-ছক্কায় ১০ রান করলে ১১৩ রানের পুঁজি পায় খুলনা।

ঢাকা ডমিনেটর্সের পেসার আল আমিন হোসেন ৪ ওভারে ২৮ রান খরচায় নেন ৪টি উইকেট। ২টি করে উইকেট শিকার আরাফাত সানি আর নাসির হোসেনের। তাসকিন উইকেট না পেলেও ৪ ওভারে দেন মাত্র ১৪ রান।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *