রাসূলি-আফিফের ব্যাটে চট্টগ্রামের সহজ জয়

১৫৯ রানের লক্ষ্যটা বেশ চ্যালেঞ্জিং-ই। তার উপর দ্বিতীয় বলেই প্রথম উইকেট হারায় চট্টগ্রাম। পরিস্থিতি যখন এমন, তখন আফিফ হোসেনকে তিন নম্বরে ব্যাটিংয়ে পাঠায় টিম ম্যানেজমেন্ট। দলের এমন সিদ্ধান্তের প্রসংশা না করে উপায় নেই। তিন নম্বরে নেমে একাই যেন ম্যাচটা জেতালেন আফিফ। শেষ পর্যন্ত টিকে থেকে দলের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছেড়েছেন বাঁহাতি এ ব্যাটার।

চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে শনিবার ঢাকা ডমিনেটর্সকে ৮ উইকেটে হারিয়েছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। ব্যাট হাতে ৫২ বলে ৬৯ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে বড়সড় অবদান রেখেছেন আফিফ হোসেন।

ঢাকার দেওয়া চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দলীয় ১ রানে আল আমিন জুনিয়রের উইকেট হারায় চট্টগ্রাম। হাল ধরেন এসে আফিফ। কিছুটা সময় নিয়ে শুরু করেন আগ্রাসী ব্যাটিং। তাতে পাওয়ারপ্লেতে চট্টগ্রামের সংগ্রহ ৫০।

উসমান খান আফিফকে সঙ্গ দিয়েছেন বেশ। তবে আরাফাত সানির বলে কাটা পড়েন পাকিস্তানের এই ব্যাটার। এরপর রানের গতি একটু কমে। সেট হতে বেশ সময় নেন দারউইস রাসূলি। এরপর শুরু করেন তান্ডব। ৩৩ বলে ৫৬ রানের ইনিংস খেলে দলকে ম্যাচ জেতান ২ ওভার হাতে রেখেই।

এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামে ঢাকা। দলের হয়ে ভালো শুরু এনে দেন দুই ওপেনার মিজানুর রহমান এবং উসমান ঘনি। তবে এই দুই ওপেনার ফিরে যাওয়ার পর চাপে পড়ে নাসির হোসেনের দল। তিনে নামা সৌম্য সরকার আজও ব্যর্থ। টানা ব্যর্থতার বৃত্তেই ঘুরপাক খাচ্ছেন বাঁহাতি এই ব্যাটার।

মোহাম্মদ মিথুনও ফিরেছেন দ্রুত, করেছেন মোটে ৯ রান। ভালো শুরুর পরেও ইনিংসকে পরিপূর্ণতা দিতে পারেননি অধিনায়ক নাসির হোসেন। ৩০ রানে মেহেদী রানার বলে ফিরে গেছেন তিনি।

নাসির ফিরে যাওয়ার ফেরে মোহাম্মদ ইমরানও। এরপর দলের হাল ধরেন আরিফুল হক। শেষ পর্যন্ত ১৮ বলে ২৯ রান করে অপরাজিত থেকে মাঠ ছেড়েছেন এই ব্যাটার। চট্টগ্রামের হয়ে নিহাদুজ্জামান এবং মেহেদী হাসান রান নেন ২ উইকেট করে।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *