ওবায়দুল হক মানিক, আরব আমিরাত থেকে: ‘আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস’ উপলক্ষ্যে আবুধাবিতে বাংলাদেশ দূতাবাস ও দুবাই কনসুলেট অফিস এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় গত বুধবার (১৮ ডিসেম্বর)।
অনুষ্ঠানে জানুয়ারী থেকে ডিসেম্বর-২০১৯ পর্যন্ত দূতাবাসের কার্যক্রমের সংক্ষিপ্ত পরিসংখ্যান তুলে ধরেন লেবার কাউন্সিলর আবদুল আলিম মিয়া। তিনি জানান, আমিরাতে যারা বিভিন্ন কারণে আটকে আছেন তাদের দেশে পাঠাতে চলতি বছরে প্রায় ১৫০ বার আমিরাতের জেল ভিসিট করা হয়েছে। এ বছর চার হাজার ২৪৮ জন নাগরিকের ট্রাভেল পারমিট ইস্যু করা হয়েছে। তাদের মধ্যে চার হাজার ১৬৭ জন পুরুষ ও ৮১ জন মহিলা রয়েছে। সরকারি খরচে প্রায় ২৫ জনের মতো অসুস্থ ব্যক্তিকে দেশে পাঠানো হয়েছে।
এ বছর ১৩৪ জন প্রবাসী মারা গেছে, তার মধ্যে ৪৪ জনকে সরকারি খরচে দেশে পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া ৪৫ কোটি টাকা মৃত্যুজনিত ক্ষতি পূরণ আদায় করে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। তা ছাড়া কেউ মারা গেলে মৃতদেহ দেশে পাঠাতে প্রতিদিন ২৪ ঘণ্টা দূতাবাসের সেবা চালু রয়েছে।
এ সময় উপস্থিত প্রবাসীদের সঙ্গে বিভিন্ন সমস্যা ও সমাধানের লক্ষ্যে মুক্ত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। বিমানবন্দরে প্রবাসীদের হয়রানি ও ঘুষ দেওয়া ছাড়া ভিজিট ভিসায় দেশ থেকে তাদের আত্মীয়-স্বজনকে আনতে না দেওয়াসহ বিমানবন্দরে বিভিন্ন অনিয়মের প্রতিবাদ করেন প্রবাসীরা।
দূতাবাসের শ্রম কাউন্সিলর মুহাম্মদ আবদুল আলিম মিয়ার পরিচালনায় ও রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ ইমরানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী, প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী ও প্রবাসী কল্যাণ সচিবের বাণী পাঠ করেন দূতাবাস কর্মকর্তারা।
এছাড়াও মাঠ পর্যায়ে প্রবাসীদের বিভিন্ন বিষয়ে সচেতন ও খোঁজ-খবর নিতে দুটি মোবাইল টিম গঠন এবং দূতাবাসে লোকবল বাড়ানোর জন্য আহবান করেন প্রবাসীরা। এ সময় রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ ইমরান প্রবাসীদের সব প্রশ্নের উত্তর দেন এবং আমিরাতে অবস্থানরত সাড়ে সাত লাখ প্রবাসীকে অভিবাসী দিবসের শুভেচ্ছা জানান।
Leave a Reply