রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ে বরিশালকে ফের হারাল সিলেট

মিরপুর শেরেবাংলায় দেখা গেল আরো একটি উপভোগ্য ম্যাচ। চলতি টুর্নামেন্টের সেরা দুই দল সিলেট স্ট্রাইকার্স এবং ফরচুন বরিশালের লড়াই দেখতে গ্যালারি ছিল দর্শকে ভর্তি। ম্যাচের ফলাফল আসতে শেষ ওভার পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছে। রুদ্ধশ্বাস লড়াই শেষে মাত্র ২ রানের জয় তুলে নিয়েছে সিলেট স্ট্রাইকার্স। প্রথম দেখায় তারা বরিশালকে ৬ উইকেটে হারিয়েছিল।

রান তাড়ায় নেমে ঝোড়ো শুরু করেন বরিশালের দুই ওপেনার সাইফ হাসান ও ইব্রাহিম জাদরান। নিজের প্রথম ওভারের প্রথম বলেই উইকেট পেতে পারতেন মাশরাফি। তবে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে ইব্রাহিম জাদরানের দেওয়া সহজ ক্যাচ ছাড়েন জাকির হাসান। এর পরও দেখা গেছে সিলেট ফিল্ডারদের ক্যাচ মিসের মহড়া। অন্যদিকে শুরু থেকেই ব্যাট হাতে আগ্রাসী ছিলেন সাইফ হাসান। বিশেষ করে মাশরাফিকে বেদম পিটুনি হজম করতে হয়েছে। ১৯ বলে ৪ ছক্কায় ৩১ রান করা সাইফকে থামান তানজিম সাকিব। এই তরুণের দ্বিতীয় শিকার এনামুল হক বিজয় (৩)।

এরপর জমে ওঠে ইব্রাহিম আর সাকিবের জুটি। ৩৭ বলে ৪২ রান করা ইব্রাহিমকে অসাধারণ এক ডেলিভারিতে বোল্ড করেন রেজাউর। ভাঙে ৬১ রানের জুটি। রেজাউরের ওই ওভারের পঞ্চম বলেই সবচেয়ে বড় সাফল্য আসে। আরেকটি দুর্দান্ত ডেলিভারিতে উপড়ে যায় ১৮ বলে ৩ চার ১ ছক্কায় ২৯ রান করা সাকিব আল হাসানের অফ স্টাম্প। বরিশালের পঞ্চম উইকেটের পতন হয় করিম জানাতের বিদায়ে। ১২ বলে ২১ করা করিমকে কট অ্যান্ড বোল্ড করেন মোহাম্মদ আমির। ছক্কা মেরে রানের খাতা খোলেন মাহমুদউল্লাহ।

জয়ের জন্য শেষ ১২ বলে বরিশালের দরকার ছিল ২৩ রান। মোহাম্মদ আমিরের করা ১৯তম ওভারের প্রথম বলেই সীমানায় ক্যাচ দিয়ে ফেরেন মাহমুদউল্লাহ (৭)। শেষ ওভারে ১৫ রান প্রয়োজন ছিল। রেজাউরের করা প্রথম বলেই ক্যাচ দেন ইফতেখার (১৭)। পরের বলে দ্রুত সিঙ্গেল নিতে গিয়ে রান আউট মিরাজ (৭)। পঞ্চম বলে ছক্কা মারেন মোহাম্মদ ওয়াসিম। শেষ বলে দরকার হয় ৭ রানের। ওই বলে বাউন্ডারি এলে ২ রানের রুদ্ধশ্বাস জয় পায় সিলেট স্ট্রাইকার্স।

এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৭৩ রানের স্কোর গড়ে সিলেট। ব্যাট হাতে সিলেটের শুরুটা হয়েছিল খুবই বাজে। প্রথম ওভারে ১০ রান এলেও দ্বিতীয় ওভারেই তিন উইকেট হারায় দলটি। পাকিস্তানি পেসার মোহাম্মদ ওয়াসিম জুনিয়রের করা ওই ওভারে সাজঘরে ফিরে যান জাকির হাসান, তৌহিদ হৃদয় ও মুশফিকুর রহীম। এর মধ্যে ‘গোল্ডেন ডাক’ মেরেছেন জাকির ও মুশি।

এরপর দলকে টেনে তোলেন শান্ত ও টম মুর। চতুর্থ উইকেটে ৮১ রানের জুটি গড়েন দুজন। ৩০ বলে ৪০ রান করে মুর থামলেও অটল থাকেন শান্ত। পঞ্চম উইকেটে আরো ৬৮ রান যোগ করেন শান্ত ও থিসারা পেরেরা। ১৬ বলে ২১ রান করে বিদায় নেন লঙ্কান অলরাউন্ডারও। শান্ত ৬৬ বলে অপরাজিত ৮৯ রানের ইনিংস খেলে দলকে এনে দেন চ্যালেঞ্জিং স্কোর। শান্তর ইনিংসে ছিল ১১টি চার ও ১টি ছক্কা। ৩৪ রানে ৩ উইকেট নেন মোহাম্মদ ওয়াসিম।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *