চট্টগ্রাম জেলার লোহাগাড়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের একটি গ্রামে দীর্ঘদিন ধরে অন্যায় ভাবে কবরস্থানে মৃতদেহ দাফনে বাঁধার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় কিছু ব্যক্তির বিরুদ্ধে।
গত ৭ জানুয়ারি সদর ইউনিয়ন, ৬নং ওয়ার্ড কালোয়ার পাড়া ৬০ বছরের একজন মুসলিমের জন্য কবরস্থানে কবর খুঁড়ছিলেন, তখনই একদল লোক মৃতদেহ দাফনে বাঁধা দেয়ার ঘটনা ঘটে।
এ ব্যাপারে স্থানীয় এলাকাবাসীর পক্ষে হয়ে শামশুল আলম নামে এক ব্যক্তি ৪ জনকে অভিযুক্ত করে গত ১৭ জানুয়ারি উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযুক্ত ব্যক্তিরা হলো ১) আবুল কাশেম পিতা-মৃত সোলতান আহমদ, ২) আবদুল গফুর পিতা-মৃত গুনু মিয়া, ৩) নুরুল ইসলাম পিতা-মৃত মো. বসু, ৪) করিম সওদাগর পিতা-মৃত কালাম বকসু।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, কালোয়ার পাড়া গ্রামটির সংঘবদ্ধ কিছু মানুষ জোরপূর্বক ভাবে অনেক বছর ধরে সেখানে গ্রামের লোকজনের মৃতদেহ দাফনে বাধা দেয়া হচ্ছে। অথচ লোহাগাড়া মৌজার আর.এস ২৬১০ এবং বি.এস খতিয়ান নং-১ এর ১৫০৪৮ দাগের অন্তর্ভুক্ত মোট ৭ (সাত) শতক এই জায়গা মসজিদ ও কবরস্থান হিসাবে ব্যবহার করে আসছে ১৪০ পরিবার। কিন্তু লোকজনের কেউ মারা গেলে কবরস্থ করা দুরুহ হয়ে পড়েছে। প্রতিপক্ষ লোকজনের সাথে স্থানীয়ভাবে বসে সমাধান করতে চাইলে তারা বসতে নারাজ। উক্ত কবরস্থানকে তাদের পারিবারিক সম্পত্তি বলে এবং অন্য কারো পরিবারের মৃত ব্যক্তিকে দাফন করতে বাঁধা দেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, লোহাগাড়া সদরের কালোয়ার পাড়া গ্রামের এই কবরস্থানটি অনেক বছরের পুরানো। অভিযুক্তদের সুনির্দিষ্ট কোন কাগজ নাই অথচ প্রজন্মের পর প্রজন্ম ঐ কবরস্থানেই তাদের পূর্বসূরীদের দাফন করা হচ্ছে। কিন্তু অন্য কেউ সেখানে দাফন করতে পারে না।
উপজেলার আধুনগর ভূমি অফিসের তহসিল দার সনজিদ চৌধুরী আজ বিরোধ পূর্ণ জায়গায় পরিদর্শনে আসেন। তিনি বলেন, জায়গাটি যেহেতু খাস। তাই কবরস্থানে মৃত দেহ দাফনে বাঁধার বিষয়টি স্থায়ী সমাধানের চেষ্টা করছি।
২৪ঘণ্টা.জেআর
Leave a Reply