বোন জামাইয়ের হাতে অপহরণের শিকার শিশু শ্যালিকা। দুলাভাইয়ের টার্গেট ছিল দুবাই পাচার করার। এ মাদ্রসাছাত্রী অপহরণের প্রায় এক মাস পর উদ্ধার হল র্যাবের অভিযানে। অপহৃত ৯ বছরের এ শিশুটিকে ঢাকার মিরপুর থেকে নিয়ে যায় দুলাভাইসহ তির অপহরণকারী। ৫ম শ্রেণীতে পড়ুয়া এ ছাত্রী একটি মাদ্রাসায় পড়ালেখা করতো । কিছুদিন আগে দুবাই প্রবাসী মোঃ শহিদুল করিম এর সাথে মিশুটির বড় বোনের বিয়ে হয়।
অভিযোগ রয়েছে, শহিদুল বাংলাদেশ থেকে দুবাই নারী পাচারকারী চক্রের সাথে জড়িত। শহিদুল ভিকটিমের বোনকে বিয়ের নামে দুবাই নিয়ে গেলেও দুবাই নাইট লাইফের কাছে তাকে বিক্রি করে অন্য দেশে থাকতে শুরু করে। কিন্তু ওই পাচারের পরপরই সে শিশুটিকে বিদেশ পাচার করার জন্য পরিকল্পনা করতে থাকে।
জানা গেছে, গত ৩ জানুয়ারি সকাল ৯টার দিকে মাদ্রাসার উদ্দেশ্যে বাসা থেকে বের হয় শিশুটি। দীর্ঘসময় অতিবাহিত হলেও শিশুটি বাড়ি ফিরে আসেনি। মেয়েটির মা এবং তার পরিবারের লোকজন বিভিন্ন স্থানে খেঁাজাখুঁজি করেন। অনেক খেঁাজাখুঁজির পর ভিকটিমের পরিবার জানতে পারেন আসামী শহিদুল এবং তার সহযোগী সাকিব এবং নুরুজ্জামানের সহায়তায় ভিকটিমকে বিদেশ পাচারের উদ্দেশ্যে অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে গেছে। এ ঘটনায় ভিকটিমের মা বাদি হয়ে ৩ জনকে আসামী করে ঢাকা মহানগরীর শাহ আলী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন(মামলা নং ২৩, তারিখ ২৪ জানুয়ারি ২০২৩ইং)। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের এ মামলায় অভিযোগ থানায় পড়ে থাকলেও হস্তক্ষেপ করেছে র্যাব সেভেন।
র্যাব-৭ সূত্রে জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এ ঘটনায় জড়িত ও আশ্রয়দাতা ২ জনকে চট্টগ্রাম নগরীর হালিশহর থানাধীন চৌধুরীপাড়া এলাকার একটি বাসায় অবস্থান করছিল। এমন তথ্রের ভিত্তিতে র্যাবের একটি দল গত ২৮ জানুয়ারি রাত ২টার সময় অভিযান চালায়। এ ঘটনায় হাটহাজারীর ফরহাদাবাদ এলাকার মৃত তোফায়েল আহমেদ এর ছেলে আবু সুফিয়ান রানা (৩১) এবং আবু সুপিয়ানের স্ত্রী শারমিন কাওসার হান্না (২২) কে আটক করেছে র্যাব সেভেনের সদস্যরা। আটককৃতদের তথ্যের ভিত্তিতে অপহরণ মামলার এজাহারনামীয় ৩নং আসামী হাটহাজারীর চিপাতলী এলাকার মৃত আবুল হোসেনেরে ছেলে নুরুজ্জামান (৫৫)কে ভোর পৌনে ৬টার দিকে হাটহাজারীর চিপাতলী এলাকা হতে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত আসামী নুরুজ্জামানকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে এবং তার দেয়া তথ্য মতে চট্টগ্রাম জেলার সাতকানিয়া থানামীন নলুয়া এলাকার একটি বাড়ি হতে গত ২৮ জানুয়ারি সকাল পৌনে ৯টার দিকে ভিকটিমকে উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামীদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, তারা অন্যান্য সিন্ডিকেট সদস্যদের সহায়তায় অসহায় মেয়েদের বিভিন্নভাবে ভালো চাকরীর প্রলোভন দেখিয়ে দুবাই পাচার করত। নাবালিকা শিশু ভিকটিমকে অপহরণ করে তারা দুবাই পাচার করার জন্য চট্টগ্রাম ও আশেপাশের বিভিন্ন স্থানে লুকিয়ে রেখেছিল।
২৪ঘণ্টা.জেআর
Leave a Reply