ভালোবাসা মানে শুধু প্রেমিক-প্রেমিকার যুগল প্রেম নয়। ভালোবাসা মানে একে অপরকে স্নেহ মমতার বেড়াজাল। অদৃশ্যতায় আটকে রেখে এগিয়ে যাওয়ার পথচলা। মূলত ভালোবাসার অর্থটাই এ সমাজে পরিবর্তিত হয়ে প্রেমিক-প্রেমিকার জুটির মধ্যে আবদ্ধ হয়েছে। আজ ১৪ ফেব্রুয়ারি যেন ভালোবাসার স্মৃতিতে অব্যক্ত কথার ঝুড়ি। মঙ্গলবার চট্টগ্রামের শিরীষতলায় জমে উঠেছিল প্রেমিক যুগলের মিলনমেলা। যেন হলুদে ছেঁয়ে গেছে শিরীষতলা। এক সময় চিঠি আদান প্রদানের মধ্য দিয়ে ভালোবাসার বহিপ্রর্কাশের সবচেয়ে বড় অবলম্বন ছিল। কিন্তু ডিজিটালের এ যুগে এসে চিঠি উড়ে গেছে অচীন দেশে। সে সঙ্গে রোমান্টিক বুলিও যেন থেমে গেছে।
চট্টগ্রামে বিশ্ব ভালোবাসা দিবস পালনে দেখা গেছে এক ব্যতিক্রমী আয়োজন। নগরীর সিআরবিস্থ শিরিষতলা মুক্তমঞ্চ বিশ^ ভালোবাসা দিবসে প্রমা আবৃত্তি সংগঠনের সাংস্কৃতিক আয়োজনের মাধ্যমে চাঙ্গা ছিল । এ আয়োজনে ছিল আবেগঘন পরিবেশে ভালোবাসার আদান প্রদানের কিছু স্মৃতি কাহিনী আর উন্মুক্ত আকাশের নিচে তবে ভালোবাসা দিবসের অর্থপূর্ণ তাৎপর্য পরিবর্তিত হয়ে তরুণদের মাঝে চলে এসেছে। ভালোবাসার কথাগুলো গানে গানে আগতদের মাঝে জানান দেয়া। আবৃত্তি, সঙ্গীত আর নৃত্যের মধ্যদিয়ে প্রমা’র পক্ষ থেকে বসন্ত উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার সকাল থেকেই সিআরবির শিরিষতলা আর ডিসি হিলকে ঘিরে ছিল জুটিদের মিলনমেলা। বসন্তের আগমনী বার্তা যখন প্রকৃতিতে ছেয়ে গেছে তখন যুগলরাও পিছিয়ে ছিল না চট্টগ্রামের নান্দনিক স্পট পাহাড় আর সবুজ বেস্টনির ডিসি হিল আর শিরিষতলাকে ঘিরে। তবে বসন্ত উৎসবের সে আয়োজনে সেই পোশাকেই মঙ্গলবার সকালে অনেক তরুণী নিজেকে রাঙিয়ে তুলে শিরিষতলায় মেতেছে ভালোবাসার আমন্ত্রণে। জুটি বাঁধা সেই যুগলগুলো সিআরবির সাতরাস্তার আশপাশে থাকা গাছের গুড়ি থেকে শুরু করে রেলের বাংলোর সিঁড়ি পর্যন্ত কোথাও যেন অবস্থান নিতে আগ পিছ চিন্তা করেনি। যে যেখানে চেয়েছে সেখানেই বসেছে। তবে একটু বেকায়দায় পড়েছে রেলের আবাসিক এলাকার পরিবারগুলো। পরিবার পরিজন নিয়ে বছরের প্রতিটি দিনই এমন চিত্র দেখতে হয় তাদের।
এ আয়োজনে ছিল ভালোবাসার বিভিন্ন স্মৃতির বর্ণনা। কেউ ছেড়ে এসেছে, কেউ নতুনভাবে গড়ে তুলেছে আবার কেউ বা প্রতারণার ফাঁদে পড়ে ভালোবাসাকে হারিয়েছে-এমন বক্তব্য উঠে এসেছে আগতদের কাছ থেকে। তবে শতাধিক তরুণ তরুনীর এ মিলনমেলায় উপস্থিত হতে রিজার্ভ বাসে চড়ে আসতে হয়েছে। শিরিষতলার ঠিক দক্ষিণ পূর্ব কোণে অবস্থান নিয়ে নিজেরাই নিজেদের সঙ্গে মেতে উঠলেও শেষ পর্যন্ত শিরিষতলার বিভিন্ন দিকে ঘোরাফেরা করা যুগলরাও অবস্থান নেয় একই আসনে। গান আর গান যেন ভালোবাসার টান টান উত্তেজনা নিয়ে এ স্থানটি সম্পূর্ণ পরিপাটি ছিল সূর্যাস্ত পর্যন্ত।
২৪ঘণ্টা.জেআর
Leave a Reply