সিলেটকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা

শিরোপা জিততে হলে করতে হবে ১৭৬ রান। ফাইনালের মঞ্চে এমন স্কোর চ্যালেঞ্জিংই। লিটন সে লক্ষ্যে ভালো করলেও ইমরুল কায়েস ও সুনিল নারিনের দ্রুত বিদায়ে শঙ্কার কালো মেঘ ছিল কুমিল্লার আকাশে। তবে জনসন চার্লস ও মঈন আলির ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে শেষটা প্রবল প্রশান্তির কুমিল্লার। মাশরাফির সিলেট স্ট্রাইকার্সকে সাত উইকেটে উড়িয়ে বিপিএলে ফের চ্যাম্পিয়ন হয়েছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স।

বিপিএলে কুমিল্লার এটি টানা দ্বিতীয়, সব মিলিয়ে রেকর্ড সর্বোচ্চ চতুর্থ শিরোপা। অন্যদিকে প্রথমবারের মতো ফাইনালে এলেও শিরোপা অস্পর্শ থাকল সিলেটের। বিপিএল ক্যারিয়ারে পঞ্চমবারের মতো কোনো ফাইনালে হারলেন অধিনায়ক মাশরাফিও।

মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার আগে ব্যাট করতে নেমে সাত উইকেটে ১৭৫ রান করে সিলেট। জবাবে চার বল হাতে রেখে লক্ষ্যে পৌঁছায় কুমিল্লা, ১৭৬/৩।

জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে দলীয় ২৭ রানে প্রথম উইকেট হারায় কুমিল্লা। ৫ বলে ১০ রান করা সুনিল নারিন রুবেলের শিকার। টিকতে পারেননি ইমরুল কায়েস। লিন্ডের বলে পেরেরার হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ২ রান করা কুমিল্লা অধিনায়ক।

এরপর জনসন চার্লসের সঙ্গে দারুণ জুটি গড়ে তোলেন ওপেনার লিটন দাস। এই জুটিতে আসে ৫৭ বলে ৭০ রান। লিটনকে ফিরিয়ে এই জুটি বিচ্ছিন্ন করেন রুবেল হোসেন। ৩৯ বলে সাত চার ও এক ছক্কায় ৫৫ রানের দারুণ ইনিংস খেলে ফেরেন লিটন।

লিটনের বিদায়ের পর কুমিল্লাকে কক্ষপথে রাখেন দুই বিদেশি জনসন চার্লস ও মঈন আলি। বিশেষ করে চার্লসের খুনে ব্যাটিংয়ে হেসেখেলে জেতে কুমিল্লা। ৫২ বলে সাত চার ও পাঁচ ছক্কায় ৭৯ রানে অপরাজিত থাকেন চার্লস। ১৭ বলে মঈন অপরাজিত থাকেন ২৫ রানে।

এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই দুই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে সিলেট। তানভীরের বলে শূন্য রানে বোল্ড ওপেনার তৌহিদ হৃদয়। রাসেলের বলে ইমরুল কায়েসের হাতে ক্যাচ দেন সিলেট অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা (৪ বলে ১ রান)।

তৃতীয় উইকেট জুটিতে কুমিল্লার বোলারদের শাসন করেন নাজমুল হোসেন শান্ত ও মুশফিকুর রহিম। এই জুটি দলকে নিয়ে যান ১০৫ রান পর্যন্ত। দারুণ খেলতে থাকা শান্ত বিদায় নেন মঈন আলির বলে সরাসরি বোল্ড হয়ে। যাওয়ার আগে করে যান ৪৫ বলে ৬৪ রানের ইনিংস।

৯টি চারের পাশাপাশি তিন হাঁকান এক ছক্কাও। এই ইনিংসের সুবাদে বিপিএলে এক আসরে প্রথম বাংলাদেশি ক্রিকেটার হিসেবে পাঁচশ রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন তিনি।

এরপর ফিফটির দেখা পান অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিমও। ৩৫ বলে তিনি স্পর্শ করেন পঞ্চাশ। শেষের দিকে ১১ বলে ১৩ রান করে ফেরেন রায়ান বার্ল। নারিনের বলে গোল্ডেন ডাক মারেন লঙ্কান অলরাউন্ডার থিসারা পেরেরা। ৬ বলে ৯ রান করে মুস্তাফিজের শিকার জর্জ লিন্ডে। ৪৮ বলে ৭৪ রানের ঝলমলে ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন মুশফিকুর রহিম। বল হাতে কুমিল্লার হয়ে মুস্তাফিজুর দুটি, রাসেল, তানভীর, নারিন, মঈন একটি করে উইকেট নেন।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *