ফটিকছড়ি প্রতিনিধি: লাখো ভক্তের ঢল নেমেছে মাইজভান্ডারী সূফিবাদি দর্শনের বিকাশকারী শাহসূফী সৈয়দ শফিউল বশর মাইজভান্ডারী (র.) ১০৪তম খোশরোজ শরীফে।
সোমবার যথাযত ধর্মীয় ভাবগাম্বীর্যে বিশ্বশান্তি কামনায় আখেরি মুনাজাতের মাধ্যমে পালিত হয়েছে খোশরোজ শরীফ।
মাইজভান্ডার দরবার শরীফ মাঠে খোশরোজ শরীফের আলোচনা সভায় গাউছিয়া রহমান মনজিলের সাজ্জাদানশীন পীরে ত্বরিকত শাহসূফী সৈয়দ মজিবুল বশর মাইজভান্ডারী (ম.) বলেন, মাইজভাণ্ডার দরবার শরীফে শতাধিক বছর ধরে জাতি ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে দেশ-বিদেশের লক্ষ-কোটি ভক্ত নিজেদের জাগতিক ও আধ্যাত্মিক ক্ষুধা আর তৃষ্ণা নিবারণ করে চলেছে। এই দরবারে নারী পুরুষ ও জাতি-ধর্ম-বর্ণ-গোত্র নির্বিশেষে অগণিত ভক্তের এক মহামিলন কেন্দ্র, এক মহাতীর্থভূমি আজ। হযরত গাউছুল আ’যম মাইজভাণ্ডারী মাওলানা শাহসূফি সৈয়দ আহমদ উল্লাহ মাইজভান্ডারী (কঃ) কেবলা এবং হযরত মাওলানা শাহসূফি সৈয়দ গোলামুর রহমান বাবাভাণ্ডারী (কঃ) কেবলার বেছালের পর মাইজভান্ডারী ত্বরিকা প্রচার-প্রসারে যে মহান অলি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছিলেন, তিনি হলেন সৈয়দ শফিউল বশর মাইজভান্ডারী (কঃ) কেবলা। উনার জীবন কর্ম ও আদর্শ অনুস্মরণ করে আমরা ইহকালীন ও পরকালীন শান্তি লাভ করতে পারি।
এসময় শাহজাদা সৈয়দ নুরুল বশর মাইজভান্ডারী, আশেকানে মাইজভান্ডারী এসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি মোহাম্মদ জামাল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক ছালাম সরকার, এয়াকুব গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. এয়াকুব, মাওলানা শায়েস্তা খান, মাওলানা নিজামুল হক শেরেবাংলা, খাদেম ওহাব মাইজভান্ডারী, খাদেম আবুল হাসেম, কামাল উদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
রাতে মিলাদ মাহফিল শেষে বিশ্বের সকল উম্মাহর সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে আখেরী মোনাজাত এবং তবারুক বিতরণ করা হয়।
উল্লেখ্য, সৈয়দ শফিউল বশর মাইজভান্ডারী ১৩২৫ বঙ্গাব্ধ ৭ ফাল্গুন মাইজভান্ডার দরবার শরীফের প্রখ্যাত অলীয়ে সাধক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা সৈয়দ গোলামুর রহমান মাইজভান্ডারীর জীবদ্দশায় মাইজভান্ডারী তরিকার সাধক ও এই তরিকার প্রচারক ছিলেন। গ্রাম্য মক্তবে প্রাথমিক শিক্ষা, চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুলে অধ্যয়ন করেন। পরে ভারতের আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি হন ১৯৩২ সনে। সেখানে শিক্ষা সমাপ্ত করে নিজ গ্রাম মাইজভান্ডার শরীফে প্রত্যাবর্তন করেন এবং শিষ্য রুপে তার পিতার নিকট হতে আধ্যাত্ম জ্ঞান সাধানায় আত্মনিয়োগ করেন। ২০০২ সালে তিরাশি বৎসর বয়সে তিনি ইন্তকাল করেন। মাইজভান্ডার শরীফে তার সমাধিকে ঘিরে মদিনা মনোয়ার ডিজাইনে দৃষ্টি নন্দন ও ধর্মীয় ভাব গাম্ভির্যে তার মাজার প্রতিষ্টার কাজ চলছে। ৭ ফাল্গুন তার খোশরোজ শরিফে লাখো আশেক-ভক্তের সমাগম ঘটে।
Leave a Reply