চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, ১৯৫২ সালে ভাষা সৈনিকদের আত্মত্যাগের মাধ্যমে আমরা আমাদের মাতৃভাষা বাংলা ভাষা ফিরে পেয়েছি। এই বাংলাদেশ যতদিন থাকবে ৫২’র ভাষা শহীদরা ততদিন আমাদের মাঝে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। এই ২১শে ফেব্রুয়ারি দিনটি ভাষা দিবস হিসেবে শুধু আমরা পালন করছি না। ২১শে ফেব্রুয়ারি সারা বিশ্বে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালিত হচ্ছে। এটা আমাদের জন্য অত্যন্ত গর্বের বিষয়। এই দিনের ইতিহাসের সঙ্গে জড়িয়ে আছে বাংলাদেশের স্বপ্ন, তার জন্ম এবং ঐতিহ্যের নানা কথা। সেই ইতিহাসে রয়েছে আত্মত্যাগ, নিরলস সংগ্রাম এবং হার না মানা মনোভাব।
তিনি আজ মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারি) আন্তর্জাতিক মার্তৃভাষা দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির উদ্যোগে শহীদ মিনারে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন পূর্বক সমাবেশ সভাপতির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, ভাষা আন্দোলনের পর মুক্তিকামী বাঙালি জনতা দেশ বিভাগের স্বপ্ন নিয়ে পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রাম শুরু করে। পরবর্তীতে ১৯৭১ সালে দীর্ঘ নয় মাস স্বাধীনতা সংগ্রামের পর বাংলাদেশ নামক একটি স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হয়। কিন্তু মহান স্বাধীনতার সংগ্রামের ঘোষণা পত্রের মূলমন্ত্র সাম্য, মানবিক মূল্যবোধ ও সামাজিক ন্যায় বিচার আজও অধরা। আজ দেশের গণতন্ত্র, মানবিক মূল্যবোধ, ন্যায়বিচার বলতে কিছুই নেই। এখনও পর্যন্ত সংগ্রাম করতে হচ্ছে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য,ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য, ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য। বাংলাদেশের মানুষ স্বভাবজতভাবেই গণতন্ত্র প্রিয়। বীরের জাতি। এদেশের মানুষ স্বৈরশাসন কখনো মেনে নেয়নি। ভবিষ্যতেও মেনে নিবে না। দেশবাসী গণতন্ত্রের জন্য জেগে উঠেছে। সেই দিন আর বেশি দূর নয়। অচিরেই সকল অপশাসনের অবসান হবে। গণতন্ত্রের বিজয় নিশান উঠবে।
পুস্পস্তবক অর্পনকালে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপি’র শ্রম সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দিন, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সি. যুগ্ম আহবায়ক আলহাজ্ব এম এ আজিজ, যুগ্ম আহবায়ক এস কে খোদা তোতন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, ইসকান্দর মির্জা, আবদুল মান্নান, আহবায়ক কমিটির সদস্য আনোয়ার হোসেন লিপু, মো. কামরুল ইসলাম, মহানগর যুবদলের সভাপতি মোশাররফ হোসেন দিপ্তী, মহিলা দলের ফাতেমা বাদশা, মনোয়ারা বেগম মনি, তোতোয়ালী থানা সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব জাকির হোসেন, মহানগর বিএনপি নেতা মো. আলী মিটু, এড. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, আবদুল বাতেন, আজাদ বাঙ্গালী, ইউসুফ সিকদার, সকিনা বেগম, শ্রমিকদলের শ. ম. জামাল তাহের আহম্মেদ, তাঁতীদলের আহবায়ক মনিরুজ্জামান টিটু, মহানগন ছাত্রদালের আহবায়ক মো. সাইফুল আলম, সদস্য সচিব শরিফুল ইসলাম তুহীন, ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আকতার খান, আলাউদ্দিন আলী নুর, ওয়ার্ড সাধারণ সম্পাদক এম এ হালিম বাবলু, সৈয়দ আবুল বশর,আলী হায়দার, জসিম মিয়া, আনোয়ার হোসেন আরজু, মনজুর মিয়া, জিয়াউর রহমান জিয়া প্রমূখ।
Leave a Reply