জুয়ার প্রচারণার দায়ে ইউটিউবার প্রত্যয় হিরণকে গ্রেফতার করেছে ডিবি পুলিশ। তার সঙ্গে দুই সহযোগীকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। নারায়ণগঞ্জ থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, আন্তর্জাতিক জুয়ার সাইটের প্রচারণা করে ইউটিউব ভিডিও বানাতেন তারা। এজেন্টের মাধ্যমে তারা বিদেশি জুয়ার প্ল্যাটফর্মের বিজ্ঞাপনও চালাতেন। এ নিয়ে রমনা থানায় একটি মামলা করে পুলিশ। এরপর তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার বাকি দুজন হলেন রায়হান সরকার বিশাল ও আব্দুল হামিদ। তাদের কাছ থেকে তিনটি মোবাইল, তিনটি সিম, একটি ট্যাব ও একটি হার্ডডিস্ক জব্দ করা হয়েছে।
ডিবি বলছে, প্রত্যয় হিরণ জুয়ার সাইট ওয়ান এক্স বেট, বাবুএইটিএইট, ক্রিকেক্সের প্রচারণা চালাতেন। এ জন্য তিনি ভিডিওপ্রতি নিতেন এক লাখ ১০ হাজার টাকা করে।
বর্তমানে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিও’র ফাঁকে ফাঁকে বিজ্ঞাপনী সংলাপ দেওয়া হচ্ছে বলে জানায় পুলিশ। বিশেষ করে ইউটিউব-ফেসবুকের ভিডিওতে নতুন এ ধারার প্রচলন শুরু হয়েছে। এর মাধ্যমে জুয়ার বিজ্ঞাপনও প্রচার করছেন অনেকে। এরমধ্যে ‘আজাইরা লিমিটেড’ নামে একটা ইউটিউব চ্যানেল রয়েছে। যাদের সাবস্ক্রাইবার প্রায় সাড়ে চার মিলিয়ন।
অন্যদিকে প্রত্যয় হিরণের সহযোগী আব্দুল হামিদ ভারতীয় একটি এজেন্সির সঙ্গে বিজ্ঞাপনের জন্য এজেন্ট হয়ে কাজ করতেন।
শুক্রবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে ডিবির সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম উত্তর বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মোহাম্মদ তারেক বিন রশিদ এসব তথ্য জানান।
তিনি জাগো নিউজকে বলেন, গ্রেফতাররা অনলাইন জুয়ার বিজ্ঞাপন দিয়ে আসছিলেন। ভারতীয় এজেন্টদের মাধ্যমে জনপ্রিয় ইউটিউবার বা অনলাইন অ্যাকটিভিস্টদের সঙ্গে যোগাযোগ করে জুয়ার সাইটের বিজ্ঞাপন দিতেন তারা। প্রায় বছরখানেক প্রত্যয় হিরণের ওপর নজর রেখে চলতি সপ্তাহে রমনা থানায় মামলা করে ডিবি পুলিশ। তাদের ভিডিও তরুণ ও কিশোরদের মাঝে বেশ জনপ্রিয়। সেখানে প্রচারণার ফলে অনেকে জুয়ায় আসক্ত হয়ে যাচ্ছে। এছাড়া তারা তিন বছর জুয়ার সাইটের বিজ্ঞান চালিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।
অনলাইন জুয়া নিয়ে কয়েকটি বিষয়ে সুপারিশ করেছে সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম।
এগুলো হলো- অনলাইন বেটিং বা জুয়া থেকে বিরত থাকা। সন্তানদের ওপর বাবা-মায়ের আরও যত্নশীল হওয়া। ইউটিউবারদের নিষিদ্ধ পণ্যের বিজ্ঞাপন না দেওয়া। ইউটিউব বা অনলাইনে এ ধরণের বিজ্ঞাপন দেখা গেলে ডিবির সাইবার ক্রাইম ইউনিটকে জানানো।
Leave a Reply