ফটিকছড়ি প্রতিনিধি:ফটিকছড়ির কাঞ্চন নগর, রাঙ্গামাটিয়া, দাতমারা, তারাখো রাবার বাগানে সারি সারি আগুনে পুড়ছে ঝঁরে পড়া রাবার গাছের পাতা। রাবার বাগান কর্তৃপক্ষের দেয়া এবং দূর্বৃত্তদের দেয়া আগুনে পুড়ে বিপন্ন হচ্ছে বিভিন্ন প্রজাতির বন্যপ্রাণী ও কীটপতঙ্গ। বিভিন্ন টিলার এবং সড়কের লাইন পরিষ্কার করতে রাবার বাগান কর্তৃপক্ষও আগুন দেয়ার কথা স্বীকার করেন।
স্থানীয় সূত্র জানায়, পার্বত্য খাগড়াছড়ির বণাঞ্চল, ফটিকছড়ির বিভিন্ন চা বাগান এবং রিজার্ভ ফরেষ্ট এলাকায় সংলগ্ন ফটিকছড়ির দাতমারা, তারাখো, কাঞ্চন নগর, রাঙ্গামাটিয়া রাবার বাগান এলাকা। এখানে বিভিন্ন ধরনের পাখি, সরীসৃপ, মায়া হরিণ, মুখপোড়া হনুমান, বিরল প্রজাতির কাঠবিড়ালি, বন্য শূকর, বানর, খরগোশ, সজারু, বন মোরগ, বেজি, খেকশিয়াল, টিয়া, ময়না, ঘুঘু, শালিক, বক, বাবুইসহ বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণীর বসবাস। রাবার বাগান কর্তৃপক্ষ প্রতি বছরই বাগান সম্প্রসারণ করতে এবং টিলা পরিস্কার করতে আগুন ধরিয়ে দেয়। আবার এক শ্রেণীর স্থানীয় দূর্বৃত্তও এসে পাতার স্তুপে আগুন লাগায়। আগুনে বনে থাকা পোকাণ্ডমাকড়, কীট-পতঙ্গ পুড়ে যায়। এ ছাড়া মারা পড়ে মাটির কেঁচো ও অণুজীব। নষ্ট হয়ে যায় পশুপাখির আবাসস্থল। স্থায়ী বাসস্থান হারিয়ে বন্যপ্রাণীরা লোকালয়ে এসেও হত্যার শিকার হয়। প্রতি বছর ফাল্গুন চৈত্র মাসে এ আগুন লাগার ঘটনা ঘটে।
সরেজমিনে কাঞ্চন নগর রাবার বাগানের কারবারটিলা ও ডলু রাবার বাগান এলাকায় দেখা গেছে সারা সারি আগুন লাগার ঘটনা। এসময় আগুন প্রতিরোধ করতে রাবার বাগান কর্তৃপক্ষের কাউকে দেখা যায়নি।
কাঞ্চন নগর রাবার বাগানের ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ আমান উল্লাহ আমান মুঠোফোনে বলেন, অনেক স্থানে লাইন পরিষ্কার করতে আমরা নিজেরাই আগুন লাগাই। আবার আমরাই প্রতিরোধ করি। বন্যপ্রাণী কীটপতঙ্গ নষ্ট হবার বিষয়টি এড়িয়ে তিনি আরো বলেন, অনেক সময় দূর্বৃত্তরা আগুন লাগিয়ে দেয় বলে দাবী করেন এই রাবার ব্যবস্থাপক।
এ ব্যাপারে ফটিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাব্বির রহমান সানি বলেন, বন্যপ্রাণী জীববৈচিত্র রক্ষা করা সকলের দায়িত্ব। কোন রাবার বাগান কর্তৃপক্ষ ইচ্ছে করে আগুন লাগালে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Leave a Reply